Beanibazarer Alo

  সিলেট     সোমবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আমার মেয়েকে হত্যা করায় বাবুল আকতার

admin

প্রকাশ: ১০ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:২০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৩ | ০১:২০ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
আমার মেয়েকে হত্যা করায় বাবুল আকতার

Manual1 Ad Code

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামে স্ত্রী মিতু হত্যা মামলায় তার স্বামী বাবুল আকতারের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার শুরু হয়েছে। প্রথমদিনে এ মামলায় মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্য নেওয়ার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিচার কার্যক্রম শুরু হলো। রোববার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।

মিতুর বাবা আদালতকে বলেন, ‘পরকীয়ার কারণেই বাবুল আকতার আমার মেয়েকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যা করিয়েছে।’ আদালতে তিনি বাবুল আকতারের সঙ্গে মিতুর দাম্পত্য সম্পর্কের অবনতি থেকে শুরু করে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন ঘটনা তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী চট্টগ্রাম মাহনগর পিপি আবদু রশীদ বলেন, ‘প্রথম দিন মিতুর বাবা সাক্ষ্য দিয়েছেন। তিনি তার মেয়েকে কেন হত্যা করা হয়েছে, কারা হত্যা করেছে তা তুলে ধরেন। মিতুর বাবা হত্যাকাণ্ডের জন্য বাবুল আকতারকে দায়ী করে আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। ২ এপ্রিল বাকি সাক্ষ্য নেওয়া হবে।’

Manual1 Ad Code

শুনানির প্রথমদিন মামলার প্রধান আসামি বাবুল আকতারকে বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। মামলার অন্য আসামি যথাক্রমে আনোয়ার হোসেন, শাহজাহান মিয়া ও মোতালেব মিয়া প্রকাশ ওয়াসিমকেও আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা আসামি এহতেশামুল হক ভোলাও আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই আসামির মধ্যে কালু পলাতক ও মুসা নিখোঁজ।

Manual5 Ad Code

আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গোলাম মাওলা মুরাদ। চাঞ্চল্যকর এই মামলা নিয়ে বাবুল আকতারের পক্ষে দাখিল করা একটি আবেদন উচ্চ আদালতে শুনানির জন্য অপেক্ষমাণ থাকায় তার আইনজীবীরা সাক্ষ্যগ্রহণ পেছানোর আবেদন করেছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মহানগর পিপি আব্দুর রশীদ এর বিরোধিতা করেন। আদালত বাবুল আকতারের আইনজীবীদের আবেদন খারিজ করে রাষ্ট্রপক্ষকে সাক্ষী হাজিরের নির্দেশ দেন। এরপর মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়।

Manual5 Ad Code

বাবুল আকতারের আইনজীবী গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, চার্জ গঠনের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে একটি আবেদন (রিভিশন) করা হয়েছে। সেই কারণ দেখিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ ঈদের পরে শুরু করার জন্য সময় চেয়েছিলাম। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করলে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আদেশ দেন।

১৩ মার্চ বাবুল আকতারসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) সাতজনকে আসামি করে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। ১০ অক্টোবর আদালত অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

অভিযোগপত্রে প্রধান আসামি করা হয় খুনের শিকার মাহমুদা খানম মিতুর স্বামী বাবুল আকতারকে। ২০১৬ সালের ৫ জুন সকালে নগরীর পাঁচলাইশ থানার নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে গুলি ও ছুরিকাঘাতে খুন হন মাহমুদা খানম মিতু।

 

Manual7 Ad Code

শেয়ার করুন