Beanibazarer Alo

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কারাগারে দানি আলভেজের আত্মহত্যার গুঞ্জন!

admin

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৪ | ১২:৩৯ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৪ | ১২:৩৯ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
কারাগারে দানি আলভেজের আত্মহত্যার গুঞ্জন!

Manual3 Ad Code

স্পোর্টস ডেস্ক:
ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কারাগারে দিন পার করছেন ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার দানি আলভেজ। বার্সেলোনা ও ব্রাজিলের সাবেক এই তারকাকে সাড়ে চার বছর কারাবাসের শাস্তি দিয়েছেন স্পেনের আদালত। এমন রায়ের পর আত্মহত্যাপ্রবণ হয়ে উঠেছিলেন এই রাইটব্যাক। যার কারণে জেল কর্তৃপক্ষ ‘অ্যান্টি সুইসাইড প্রটোকল’ চালু করে।

কিন্তু এবার প্রকাশ্যে এলো, কারাগারের ভেতরে নাকি সত্যিই আত্মহত্যা করেছেন দানি আলভেজ। ব্রাজিলের এক সাংবাদিক দাবি করেন ব্রায়ান টু কারাগারে শাস্তিতে থাকা আলভেজ আত্মহত্যা করেছেন। রোববার (১০ মার্চ) ‘এক্সে’ এক ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিকের এমন দাবি সবার মাঝে উদ্বেগের সৃষ্টি করে।

Manual5 Ad Code

বিখ্যাত ব্রাজিলিয়ান সংবাদপত্র ও গ্লোবোর সাংবাদিক পাবলো আলবুকুয়েরে সরাসরি দাবি করেন, ‘আমার কাছে পাওয়া তথ্য অনুসারে আলভেজ আত্মহত্যা করেছেন।’ যদিও সেই সাংবাদিক কোন প্রমাণ দেখাতে পারেননি। এর এই ঘটনায় কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন আলভেজের ভাই।

Manual7 Ad Code

৪০ বছর বয়সী এই ফুটবলারের ক্যারিয়ার ছিল অনেকগুলো ট্রফিতে মোড়ানো। ফুটবল ইতিহাসে মেসির পর সবচেয়ে বেশি ট্রফি জয় করেছেন তিনিই। ক্যারিয়ারের একেবারে শেষদিকে এসে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে স্পেনের এক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। যদিও শুরু থেকে নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আসছিলেন আলভেজ।

অবশেষে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তাকে কঠিন শাস্তিই পেতে হলো। প্রায় দেড় বছর ধরে বিচার কার্যক্রম চলার পর ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডারকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীকে দেড় লাখ ইউরো ক্ষতিপূরণ দিতেও বলা হয়েছে আলভেজকে। এমন শাস্তির খবর শোনার পর ভিতর থেকে ভেঙে পড়েছেন এই ফুটবলার, এমনটাই জানিয়েছিলেন কারাগারের এক কায়েদি।

Manual3 Ad Code

তিনি আরও জানিয়েছিলেন, আলভেজ আত্মহত্যাও করতে পারেন। এরপরেই ব্রাজিলিয়ান সাংবাদিকের খবরের সূত্র ধরেই ছড়িয়ে পড়ে আত্মহত্যার গুঞ্জন। যদিও শেষ পর্যন্ত মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে তা। এক্সে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরই খবরটি মিথ্যে বলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে জানানো হয়। সাংবাদিকের সেই পোস্টেই পরে এক্স কর্তৃপক্ষ সংবাদটিকে মিথ্যে বলে সাব্যস্ত করে।

আলভেজের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল একটি নাইটক্লাবের ভিআইপি সেকশনের টয়লেটে যেতে ওই তরুণীকে প্রলুব্ধ করেন আলভেজ। যদিও তার দাবি— তিনি ভুক্তভোগীকে বলেছিলেন, তুমি চাইলে চলে যেতে পারো। তবে যাইহোক ওই ঘটনায় তরুণী সম্মতি দেননি বলে প্রমাণ পেয়েছেন আদালত। সবমিলিয়ে দেড় বছরের বিচারিক কার্যক্রম শেষে দোষী প্রমাণিত হন আলভেজ।

Manual6 Ad Code

শেয়ার করুন