Beanibazarer Alo

  সিলেট     রবিবার, ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে

admin

প্রকাশ: ১৩ মার্চ ২০২৩ | ১২:২৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ | ১২:২৩ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে

Manual6 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
নির্বাচনকে সামনে রেখে অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ তৈরির চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির স্থিতিশীলতার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সদ্য সমাপ্ত কাতার সফরের সারসংক্ষেপ নিয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আর ভোট কারচুপির সুযোগ নেই। আমরা ছবিসহ ভোটার তালিকা করে দিয়েছি। এনআইডি যুক্ত করা হয়েছে। ভুয়া ভোটার দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ নেই। আমরা ইভিএমে ভোট করতে চেয়েছিলাম, অনেকে আপত্তি করেছেন। নির্বাচন কমিশন যতটা সম্ভব ইভিএম ব্যবহার করবে। ভোটাররা আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ভোট দেবেন।

দেশে গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতি দায়িত্ববোধ নিয়ে কাজ করে।

Manual4 Ad Code

শেখ হাসিনা বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে যে উন্নয়ন হয় সেটা আমরা প্রমাণ করেছি। অনেক সময় সমালোচনাও শুনতে হয়। আওয়ামী লীগ সরকারে আসার পর আমরা সব উন্মুক্ত করে দিয়েছি। বিদেশে বসেও অনেকে আমাদের সমালোচনা করে। তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে সেই সুযোগ হয়েছে। আমরাই সেটা করে দিয়েছি। যে যাই বলুক, আমাদের আত্মবিশ্বাস ও কর্তব্যবোধ থেকেই আমরা উন্নয়ন করে যাবো।

তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে যেতে অনেক দেশ দ্বিধায় থাকে। কিন্তু মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করেও আমরা সে সুযোগটা নিয়েছি। সাময়িক সমস্যা হলেও আমাদের জনগণই সেটা মোকাবেলা করবে।

Manual3 Ad Code

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ স্বাধীনভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। যাকে খুশি ভোট দেবে। আমরাই দেশে ভাত ও ভোটের আন্দোলন করেছি। জনগণকে দেওয়া কথা আমরা রেখেছি। করোনা মহামারি না এলে আমরা আরও এগিয়ে যেতাম। ইউক্রেন যুদ্ধ না থাকলেও আমরা আরও এগিয়ে যেতাম। তবে আমি হতাশ নই। আমি আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলি।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের আমরা আশ্রয় দিয়েছি। ফলে তাদের প্রতি আমাদের দায়িত্বও আছে। মিয়ানমারের সঙ্গে ঝগড়া করতে যাইনি, আমরা তাদের বলছি তাদের নাগরিকদের নিজ দেশে ফেরত নিতে। শুরুতে আমরা এককভাবে রোহিঙ্গাদের ভরণ-পোষণ দিয়েছি। আমরা চাই, রোহিঙ্গারা ভাসানচরে যাক, সেখানে গেলে তাদের জীবন-জীবিকার সুযোগ হবে। রোহিঙ্গারা আমাদের জন্য বোঝা। কিন্তু আমাদের এটাও মনে রাখতে হবে, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন আমাদের দেশের এক কোটি মানুষ ভারতে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, তুলনামূলক ২০১৬ কি ছিল এখন কি হয়েছে। দুর্যোগ-দুর্ভিক্ষ ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সরকারের ধারাবাহিকতা থাকায় উন্নয়নের একটি স্থিতিশীলতা এসেছে। এর মধ্যে অনেক ঘাত প্রতিঘাত এসেছে এগুলো মোকাবেলা করে আমরা এসব উন্নয়ন করতে পেরেছি।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকলে যে উন্নয়ন হয়, তার প্রমাণ পেয়েছি। আমাদের প্রতি মানুষের আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই আমরা সেটা করতে পেরেছি। সামনে নির্বাচন তারা একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চাইবে, কিন্তু পারবে না আশা করি। বিএনপি এক কোটির বেশি ভুয়া ভোটার তৈরি করেছিল, আমরা সেটা করেনি।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানি ও জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে এলডিসি সম্মেলনে যোগ দিতে গত ৪ মার্চ কাতার সফরে যান প্রধানমন্ত্রী। সফরকালে প্রধানমন্ত্রী এলডিসি-৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ বেশ কয়েকটি ইভেন্টে যোগ দেন। সেসব অনুষ্ঠানে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পক্ষে কথা বলেন তিনি।

সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ বিন খলিফা আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে কাতার থেকে এলএনজি আমদানি, প্রবাসী শ্রমিকদের ইস্যুসহ দুই দেশের দ্বি-পক্ষীয় সম্পর্ক ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ বিষয়ে আলাপ করেন।

Manual4 Ad Code

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সফরে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস, জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট সাবা কোরোসি, কাতার ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শেইখা মোজা বিনতে নাসেরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এছাড়া জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থাসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। কাতার সফর শেষে গত ৮ মার্চ দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী।

Manual8 Ad Code

শেয়ার করুন