বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ভ্রমণঝক্কির কবলে বাংলাদেশ
০৬ জুন ২০২৪, ১২:৩৩ অপরাহ্ণ
স্পোর্টস ডেস্ক:
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে যৌথভাবে এবার আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আয়োজক মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশ ভারতের বিপক্ষে যে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছে সেটি যুক্তরাষ্ট্রে। আর বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বে বাংলাদেশের চার ম্যাচের দুইটি যুক্তরাষ্ট্রে, অপর দুইটি ওয়েস্ট ইন্ডিজে। সেক্ষেত্রে ডালাস-নিউইয়র্ক-ডালাস-নিউইয়র্ক-কিংসটাউন মিলিয়ে বাংলাদেশ দলকে ভ্রমণ করতে হবে ৯ হাজার ৯২১ কিলোমিটার, অর্থাৎ প্রায় ১০ হাজার কিলোমিটার। যা বিশ্বকাপে অংশ নেওয়া বাকি ১৯ দল থেকে সবচেয়ে বেশি। এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে ক্রিকেট ভিত্তিক ওয়েবসাইট উইজডেন।
দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের পর বিশ্বকাপের ব্যস্ত সূচি, আবাসন ব্যবস্থা ও ক্লান্তিকর ভ্রমণ নিয়ে গুরুতর অভিযোগ তুলেন শ্রীলংকার স্পিনার মাহিশ থিকশানা। তার অভিযোগ, আইসিসি কোনো কোনো দলকে বাড়তি সুযোগ দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বঞ্চিত হচ্ছে শ্রীলংকা। আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিসির কাছে অভিযোগও দিয়েছে দেশটি। এরপরই নড়চড়ে বসে অনেকে। উইজডেনের প্রতিবেদন অনুসারে বাংলাদেশের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভ্রমণ করতে হবে শ্রীলংকাকে। ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গার দলকে ভ্রমণ করতে হবে ৮ হাজার ৯৭ কিলোমিটার। গ্রুপপর্বে তাদের চার ম্যাচের চারটি ভেন্যুই আলাদা।
একদিকে একাধিক ভেন্যুর কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ, অন্যদিকে ভ্রমণঝক্কি। সবমিলিয়ে পারফরম্যান্সের সঙ্গে সঙ্গে এসবও ভাবতে হচ্ছে ক্রিকেটারদের। তৃতীয় স্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসকে ভ্রমণ করতে হচ্ছে ৭ হাজার ৩৮০ কিলোমিটার। চতুর্থ স্থানে থাকা নেপাল দলকে ভ্রমণ করতে হবে ৪ হাজার ২১৪ কিলোমিটার। বেশি ভ্রমণ করতে হবে এমন প্রথম চারদলই ‘ডি’ গ্রুপের।
পঞ্চম স্থানে থাকা কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তান তিন দলকে ভ্রমণ করতে হবে ৩ হাজার ৯২২ কিলোমিটারের দূরত্ব। আর ৩৪৩৪ কিলোমিটার নিয়ে এই তালিকায় আয়ারল্যান্ডের অবস্থান ষষ্ঠ স্থানে। এছাড়া সপ্তম স্থানে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্রমণপথের দূরত্ব ৩ হাজার ৩০৬ কিলোমিটার।
ভ্রমণ দূরত্ব হিসেবে ভারতের অবস্থান অষ্টম স্থানে।
একই ভেন্যুতে তিনটি ম্যাচ খেলবে রোহিত শর্মার দল। তাদের পাড়ি দিতে হবে ১ হাজার ৭১৭ কিলোমিটার পথ। পর্যায়ক্রমে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ভ্রমণ করতে হবে ১ হাজার ৭০৯ কিলোমিটার। অন্যান্য দলের মধ্যে পাপুয়া নিউগিনি ও উগান্ডার ভ্রমণ দূরত্ব ১ হাজার ২৪৬ কিলোমিটার পথ। আর স্কটল্যান্ড ১ হাজার ২৪২ কিলোমিটার ও অস্ট্রেলিয়া ১ হাজার ১৯৫ কিলোমিটার। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড, নামিবিয়া, ওমান ও নিউজিল্যান্ডের ভ্রমণপথ এক হাজার কিলোমিটারেরও কম।
এর আগে গতবছরের এশিয়া কাপে দুই দেশ মিলিয়ে ভ্রমণ করতে হয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে বাংলাদেশকে শ্রীলংকা থেকে যেতে হয় পাকিস্তানের লাহোরে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পারফরম্যান্সে খুব সুখকর পরিস্থিতিতে নেই বাংলাদেশ। এখন ভ্রমণক্লান্তি কাটিয়ে কিভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারে বাংলাদেশ, তাই দেখার বিষয়।