মোবাইলে বিয়ে, সেই মোবাইল-ই কাল হলো নববধূ তাছলিমার
১৪ ফেব্রু ২০২৪, ০৬:৪৯ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় মোবাইল নিয়ে মনোমালিন্যের জেরে নববধূকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগে স্বামী আব্দুল হামিদ (২৮) কে আটক করা হয়। আব্দুল হামিদ উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর বড়মুড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে আটক করে বিজিবি ও আখাউড়া থানা পুলিশ।
বিয়ের ৫ দিনের মাথায় গলা কেটে মঙ্গলবার দুপুরে আব্দুল হামিদ তার স্ত্রী তাছলিমা আক্তারকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওই রাতেই নিহতের বড় ভাই আব্দুল কুদ্দুছ বাদী হয়ে আব্দুল হামিদকে আসামি করে থানায় মামলা করে। মামলায় কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা দেখানো হয়েছে।
জানা গেছে, হীরাপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফ মিয়ার প্রবাসী ছেলে আব্দুল হামিদের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জামের মেয়ে তাছলিমা আক্তারের বিয়ে হয় মোবাইল ফোনে। সম্প্রতি হামিদ দেশে ফিরে এসে গত শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) অনুষ্ঠান করে স্ত্রী তাছলিমাকে বাড়িতে নিয়ে আসে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হামিদের বাড়িতে চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় নববধূ তাছলিমার নিথর দেহ পড়ে আছে। পরে তারা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম আব্দুল হামিদকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আব্দুল হামিদ স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আব্দুল হামিদ জানিয়েছে তার স্ত্রী মোবাইলে টিকটক দেখতো ও অন্য ছেলেদের সঙ্গে চ্যাটিং করতো বলে সন্দেহ ছিল। আব্দুল হামিদ তার স্ত্রীর মোবাইল দেখতে চাইলে স্ত্রী মোবাইল ধরতে বারণ করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য হয়। ঘটনার দিন সকালে তাছলিমা বাবার বাড়িতে যেতে চাইলে হামিদ যেতে দেয়নি। এরপর স্বামী আব্দুল হামিদ বাজার থেকে ৩০০ টাকা দিয়ে ছুরি কিনে বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করে।
২৫ বিজিবি-সরাইল ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আরমান আরিফ বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সীমান্ত এলাকা অতিক্রম করার সময় টহলরত বিজিবি সদস্যরা আসামিকে আটক করেছে। পরে থানায় সোপর্দ করা হয়।