রাজনৈতিক দূর্বৃত্তপনার মাধ্যমে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে-বিয়ানীবাজারে নৌ পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী
০৭ জুন ২০২৩, ০৬:৪০ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
বিয়ানীবাজারের শেওলায় নবনির্মিত স্থলবন্দরের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে বুধবার বিকেলে শেওলা স্থলবন্দরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্টান ও সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেছেন, রাজনৈতিক দূর্বৃত্তপনার মাধ্যমে একটি গুষ্টি বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্র করছে। তারা বহির্বিশ্বে দেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে রুখে দিতে চায়। উন্নত বিশ্বে শেখ হাসিনার সরকার যখন প্রশংসিত হচ্ছে তখন মানবাধিকার আর গণতন্ত্রের সবক দিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্র রাজনীতিতে রক্তের খেলায় মেতে ওঠার স্বপ্ন দেখছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার গ্রামকে শহরে পরিণত করার ঘোষণা এবং দেশকে স্বনির্ভর করার স্বপ্নের বাস্তবায়ন হচ্ছে শেওলা স্থলবন্দর। দেশের অন্যান্য এলাকায়ও এরকম বন্দর স্থাপন করা হচ্ছে। এতে দেশে রফতানি আয় বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে পরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে পুরো দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। তিনি আরো বলেন, রাজনীতি, উন্নয়ন, গণতন্ত্র একসাথে চালাতে হবে, যা চালকের আসনে থেকে পরিচালনা করছেন শেখ হাসিনা। সকল পর্যায় থেকে দূর্ণীতি দূর করতে তিনি কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
অনুষ্টানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে কার্যকর গণতন্ত্র বজায় রয়েছে। এই ধারা অব্যাহত রেখে আবারও আওয়ামীলীগকে ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন সচেতন। তারা কোন অবস্থায় দেশকে পিছিয়ে নিতে দিবেনা। ফের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও ভুয়া ভোটার তৈরীর যুগে ফিরে যাবেনা।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের দীর্ঘ মেয়াদি দেশ পরিচালনার কারণে বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ উন্নয়নের সূবর্ণ সময় পার করছে। প্রতিটি এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো: আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্টানে আরো বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নৌ পরিবহণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো: মোস্তফা কামাল, সিলেটের জেলা প্রশাসক মো: মজিবুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফসানা তাসলিম। প্রকল্পের পরিচালক মো: সরোয়ার আলম অনুষ্টানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, ১২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে শেওলা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দেয়া হয়েছে। নৌ-পরিবহণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়ণ করে। বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমকে সহজতর করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের ৩০ জুন শেওলা শুল্ক স্টেশনকে স্থলবন্দর ঘোষণা করা হয়। বিশ্বব্যাংক ও সরকারের যৌথ অর্থায়নে বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে এ শুল্ক স্টেশনের মাধ্যমে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চালু রয়েছে।
এ বন্দর দিয়ে গবাদিপশু, মাছের পোনা, তাজা ফলমূল, গাছগাছরা, বীজ, গম, পাথর, কয়লা, রাসায়নিক সার, চায়না ক্লে, কাঠ, টিম্বার, চুনাপাথর, পির্ঁয়াজ, মরিচ, রসুন, আদা ইত্যাদি আমদানি এবং সকল পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।
ঢাকা থেকে এ বন্দরের দূরত্ব প্রায় ২৮৬ কিলোমিটার। এ বন্দরের বিপরিতে রয়েছে আসামের করিমগঞ্জের সুতারকান্দি স্থলবন্দর।
প্রায় ২৫ একর জায়গার উপর শেওলা স্থলবন্দরটি নির্মান করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় পূর্বের ১৫ একরের বাইরে নতুন করে ৯ একর জমি অধিগ্রহণসহ গোডাউন, ইয়ার্ড, নিরাপত্তা প্রাচীর, ওয়েব্রিজ স্কেল, ট্রাক পার্কিং, ডমেস্টিক ব্যারাক নির্মাণ করা হয়েছে।