রো‌হিঙ্গা সংকট সমাধা‌নে জা‌তিসংঘ‌কে ভূ‌মিকা রাখার আহ্বান মোমেনের

Daily Ajker Sylhet

admin

২২ মার্চ ২০২৩, ০২:১২ অপরাহ্ণ


রো‌হিঙ্গা সংকট সমাধা‌নে জা‌তিসংঘ‌কে ভূ‌মিকা রাখার আহ্বান মোমেনের

স্টাফ রিপোর্টার:
রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত সমাধানে জোরা‌লো ভূ‌মিকা রাখ‌তে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

নিউইয়র্ক স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে জাতিসংঘ মহাসচিবের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষ দূত নোলিন হেজারকের স‌ঙ্গে দ্বিপা‌ক্ষিক বৈঠ‌কে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাখাইনে পরিস্থিতির উন্নয়নে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি অন্যান্য সব অংশীদারদের সঙ্গে জা‌তিসং‌ঘের সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর অনুরোধ করেন। তিনি বিশেষ করে, রোহিঙ্গা সংকটের মূল কারণগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের ওপর জোর দেন।

রোহিঙ্গা বিষয়ে সাধারণ পরিষদ এবং নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত বিভিন্ন রেজুলেশনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মো‌মেন বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদেরকে তাদের নিজ মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে বহুমুখী কূটনৈতিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে এবং আসিয়ান নেতৃত্বসহ সব বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে ‌আরও সম্পৃক্ত থাকার আহ্বান জানান।

মো‌মেন ব‌লেন, সুযোগ দেওয়া হলে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সমাজের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হতে পারে এবং তাদের আর্থ-সামাজিক সমৃদ্ধিতে অবদান রাখতে পারে।

কক্সবাজার ও ভাসানচরে অবস্থিত অস্থায়ী ক্যাম্পে মিয়ানমারের পাঠ্যক্রমভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম প্রবর্তনসহ রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের নেওয়া বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ ও দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচিগুলোর কথা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বিশেষ দূতকে রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের সবচেয়ে জরুরি চাহিদা যেমন, খাদ্য, শিক্ষা, আশ্রয় ও স্বাস্থ্যসেবা মেটাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে পর্যাপ্ত তহবিল সংগ্রহ করতে কাজ করার আহ্বান জানান।

দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ‘রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড বার্ডেন শেয়ারিং’ নীতির আওতায় জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো যাতে বাংলাদেশে মানবিক আশ্রয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তা অব্যাহত রাখে, সে বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ঐক্য ও সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরত্বারোপ করেন।

মো‌মেন বিশেষ দূতের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও ভূমিকা গভীর কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্বীকার করেন এবং তাকে বাংলাদেশের পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দেন। বিশেষ দূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

একই দিন বিকেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেদারল্যান্ডসের রাজা উইলেম-আলেকজান্ডার এবং তাজিকিস্তান প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি ইমোমালি রহমানের সঙ্গে জাতিসংঘের সদরদপ্তরে একটি উচ্চ পর্যায়ের নৈশভোজে যোগ দেন।

 

Sharing is caring!