Beanibazarer Alo

  সিলেট     মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাবিতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হলকক্ষে অচেতন ছাত্রী, দরজা ভেঙে উদ্ধার

admin

প্রকাশ: ০৪ জুন ২০২৪ | ১২:৫৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৪ জুন ২০২৪ | ১২:৫৫ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
শাবিতে ঘুমের ওষুধ খেয়ে হলকক্ষে অচেতন ছাত্রী, দরজা ভেঙে উদ্ধার

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের কক্ষ থেকে এক ছাত্রীকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে আবাসিক হলটির ‘এ’ ব্লকের ১০৭ নম্বর কক্ষের দরজা ভেঙে তাঁকে উদ্ধার করে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা। পরে তাঁকে সিলেট এমএজি ওসমানী কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Manual7 Ad Code

অচেতন হওয়া শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের চতুর্থ বর্ষে অধ্যয়নরত। তিনি হলটির ১০৭ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্রী।

Manual8 Ad Code

গতকাল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনা শুনে আমরা তাঁকে গিয়ে উদ্ধার করি। ডাক্তার বলেছেন নিম্নমানের ৪ থেকে ৫টি ঘুমের ওষুধ খেয়েছেন ওই ছাত্রী। কিছুক্ষণ পর তাঁর সমস্যা কেটে যাবে, শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে। এখন সে কথা বলতে পারছে। তাঁর কিছু মানসিক সমস্যা রয়েছে। আগামীকাল একজন মানসিক বিশেষজ্ঞ দেখানোর পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তার।’

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হলের শিক্ষার্থীরা জানান, ওই ছাত্রী যে কক্ষে থাকেন কক্ষটি গণরুম বানাতে চাচ্ছে হল কর্তৃপক্ষ। ওই কক্ষের চারজনকে অন্য কক্ষে স্থানান্তর করার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকি দু’জন অন্যকক্ষে চলে গেছে। আরও একজন চলে যাবে। কিন্তু অচেতন হওয়া ওই ছাত্রী অন্য কক্ষে যেতে চাচ্ছিলো না। তখন হল প্রাধ্যক্ষ চন্দ্রানী নাগ তাঁকে হল থেকে নেমে যেতে বলেন। এ নিয়ে হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে ওই ছাত্রীর কথা কাটাকাটি হয় । পরে তিনি ছাত্রীকে শাসিয়েছেন এবং বিভাগীয় প্রধানের কাছে নালিশ করেছেন। এই কারণে ওই ছাত্রী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহননের চেষ্টা করছিলেন বলে জানা যায়।

Manual7 Ad Code

এ বিষয়ে সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কাছে কোনো নালিশ আসেনি। আপনি প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলুন।’

এ বিষয়ে হল সুপার নাঈমা আক্তারকে মুঠোফোনে কল দিলে প্রতিবেদকের পরিচয় জেনে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। পরবর্তীতে কল দিলে তাঁর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

ঘটনার বিষয়ে জানতে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের প্রাধ্যক্ষ চন্দ্রানী নাগকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Manual1 Ad Code

শেয়ার করুন