শ্রীমঙ্গলে চায়ের গুণগতমান বৃদ্ধি ও রপ্তানি সম্ভাবনা নিয়ে কর্মশালা সম্পন্ন
০৭ মার্চ ২০২৩, ১২:৪৬ অপরাহ্ণ
প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
বাংলাদেশ চা বোর্ডের শ্রীমঙ্গলস্থ প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটে (পিডিইউ) চা উৎপাদন এবং ব্যবসার সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গদের দক্ষতা উন্নয়নকল্পে ‘চায়ের স্ট্যান্ডার্ড গুণাবলী ও চা রপ্তানি’ তরান্বিত করার লক্ষে দিনব্যাপি কর্মশালা সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার দিনব্যাপী মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলস্থ প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিটে (পিডিইউ) কার্যালয়ে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
পিডিইউ-এর পরিচালক ড. এ, কে, এম, রফিকুল হক এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ-এর চিফ এক্সিকিউটিভ শেখ আলিউর রহমান, ওবিই।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ড. মো. ইসমাইল হোসেন এবং বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট ব্রা চেয়ারম্যান জিএম শিবলীসহ বাংলাদেশের চা শিল্পের বড় বড় কোম্পানি বিশেষ করে ফিনলে, ডানকান, ইস্পাহানি, সিটি গ্রুপ ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বিভিন্ন কোম্পানির চা বাগানে কর্মরত সিনিয়র টি প্লান্টার্সগণ, ব্রোকার্স হাউজের অভিজ্ঞ টি টেস্টারগণ এবং বিটিআরআই ও পিডিইউ-এর বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণসহ চা শিল্পের সাথে জড়িত প্রায় ৬০ জন ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
পিডিইউ-এর পরিচালক ড. রফিকুল হক বলেন, বাংলাদেশ চা বোর্ড চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি চায়ের গুণগতমান বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় বিশেষকরে চা রপ্তানিকে তরান্বিত করার লক্ষ্যে লন্ডন টি এক্সচেঞ্জের প্রধান নির্বাহী আলিউর রহমানকে এই কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে আমন্ত্রণ করা হয়েছে। লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ চা ব্যবসার জগতে এক স্বনামধন্য নাম। লন্ডন টি এক্সচেঞ্জ বর্তমানে ৪৩টি দেশে সফলতার সাথে চায়ের ব্যবসা করছে। আলিউর বাংলাদেশের চা-কে প্রমোট করার জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আশা করা যায় যে, এর মাধ্যমে চায়ের রপ্তানি বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে ১৬৭টি চা বাগান এবং প্রায় ৮ হাজার জন ক্ষুদ্র চা চাষী রয়েছেন। যার মোট আয়তন ২৭৯৪৩৯.৬৩ একর, এরমধ্যে চা চাষাধীন জমি রয়েছে ১৫৪৫১৫.৭৯ একর।
তিনি জানান, দেশে চায়ের উৎপাদন দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। দেশের আভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে ঐতিহ্যবাহী রপ্তানীমূখী এ চা শিল্পের উৎপাদনের কিয়দংশ বিদেশে রপ্তানী করে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করার লক্ষ্যে কাজ করছে বাংলাদেশ চা বোর্ড। তারই ধারাবাহিকতায় গুণগত মানের চা উৎপাদন এবং উৎপাদিত চায়ের মান যাচাইয়ের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে এ কর্মশালার আয়োজন বাংলাদেশ চা বোর্ডের প্রকল্প উন্নয়ন ইউনিট।
তিনি আশা করেন, বাংলাদেশের অনেক চা বাগান মালিক অথবা ব্যবস্থাপকগণ জানেন না যে, কোন কোন গুণাবলী থাকলেই চা বিদেশে রপ্তানি করা সহজ হয়।
চায়ের রপ্তানি বৃদ্ধি করার জন্য আগামীতে চায়ের স্ট্যান্ডার্ড গুণাবলী সম্পর্কে হাতে কলমে বাগান ব্যবস্থাপকগণকে আরও প্রশিক্ষণ দেয়া হবে বলে তিনি জানান।