সিসিক: একসঙ্গে নির্বাচনী মাঠে আপন দুই ভাই

Daily Ajker Sylhet

admin

৩০ মে ২০২৩, ১১:৪৯ পূর্বাহ্ণ


সিসিক: একসঙ্গে নির্বাচনী মাঠে আপন দুই ভাই

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট সিটি সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে এক সঙ্গে প্রার্থী হয়েছেন আপন দুই ভাই। কাউন্সিলর পদে প্রার্থী এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েয়ে। মো. বাবুল খান ও মোহাম্মদ রানা আহমেদ এই দুই একই ওয়ার্ডে একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়। লড়ছেন পৃথক ওয়ার্ডে।

জানা গেছে, প্রয়াত মো. আলী আকবর ও মণি বেগমের তিন ছেলে ও দুই মেয়ে। ছেলেদের মধ্যে বাবুল খান মেজ এবং রানা আহমেদ (শিপলু) ছোট। ৯ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রাবণী এলাকার বাসিন্দা বাবুল এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পূর্ব পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা রানা।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নগরের ৪২টি ওয়ার্ডে ২৮৭ জন প্রার্থী সাধারণ আসনে কাউন্সিলর পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে ৮ নম্বর ওয়ার্ডে নয়জন এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে দুজন প্রার্থী হয়েছেন। ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্য প্রার্থীরা হচ্ছেন বর্তমান কাউন্সিলর মো. ইলিয়াছুর রহমান, সুমন ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান (আবির), ফয়জুল হক, সাব্বির খান, বিদ্যুৎ দাস, জগদীশ চন্দ্র দাশ ও সুদীপ রঞ্জন দেব। এ ছাড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের অপর প্রার্থী হচ্ছেন বর্তমান কাউন্সিলর মো. মখলিছুর রহমান (কামরান)।

বাবুল খান বলেন, আমি বৃহত্তর মদিনা মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। ব্যবসায়ীসহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অনুরোধে প্রার্থী হয়েছেন। দুই ভাই পৃথক দুটি ওয়ার্ডে প্রার্থী হওয়ায় আলাদাভাবে তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত থাকবেন। তাই কেউ কাউকেই নির্বাচনী প্রচারণায় সহযোগিতা করতে পারবেন না, এটাই আক্ষেপ থাকবে।

ছোট ভাই মোহাম্মদ রানা আহমেদ বলেন, আমাদের ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত উন্নয়নকাজ হয়নি। তাই ওয়ার্ডের অগ্রগতিও আশানুরূপ হয়নি। এ অবস্থায় কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি মনস্থির করে কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন। নির্বাচিত হলে আদর্শ ওয়ার্ড গঠনে ভূমিকা রাখতে চাই।

দুই ভাইয়ের প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে রানা আহমেদ বলেন, ‘এটাকে দুর্ভাগ্য, নাকি সৌভাগ্য বলব? তবে দুই ভাইয়ের প্রার্থী হওয়া সমস্যা নয়। এলাকাবাসীর অনুরোধে নিজেদের অবস্থান অনুযায়ী আমরা প্রার্থী হয়েছি। কেবল একটাই দুঃখ, নিজেদের প্রচারণা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে এক ভাই আরেক ভাইয়ের প্রচারণায় অংশ নিতে পারব না।’

Sharing is caring!