আত্মগোপনে থাকা গোলাম দস্তগীর যেভাবে আটক হলেন
২৫ আগ ২০২৪, ০১:৪০ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান। যদিও এর আগেই আওয়ামী লীগের অসংখ্য নেতাকর্মী দেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু বিপাকে পড়ে যান যারা দেশ ত্যাগ করতে পারেননি তারা।
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর থেকে একে একে প্রকাশিত হতে থাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দুর্নীতি ও নানান অপকর্মের খবর। গ্রেফতার করা হয় দলের শীর্ষস্থানীয় নেতাকর্মীদের। ফলে যারা দেশ ত্যাগ করেননি বা করতে পারেননি তারা চলে যান আত্মগোপনে। এরই মধ্যে শনিবার গ্রেফতার হন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী ও গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজী।
শনিবার রাতে রাজধানীর শান্তিনগরের একটি বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানিয়েছে, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় দায়ের হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার সকালে পল্টন থানার ওসি মোল্লা মো. খালিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, শান্তিনগরের একটি বাসা থেকে সাবেক পাটমন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি গ্রেফতার এড়াতে তার সমন্ধির (স্ত্রীর বড় ভাই) বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন। ডিবি পুলিশের একটি দল তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে। তিনি এখন ডিবি কার্যালয়ে আছেন।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন গোলাম দস্তগীর গাজী।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নব কিশলয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রোমান মিয়া (১৭) নিহতের ঘটনায় গত বুধবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় শেখ হাসিনা ও গোলাম দস্তগীর গাজীসহ ১০৫ জনের নামে হত্যা মামলা হয়। মামলাটি করেন রোমানের খালা রিনা।
মামলার বাদী জানান, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের খবরে ছাত্র-জনতার আনন্দ মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পিস্তল, আগ্নেয়াস্ত্র, দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রূপগঞ্জের চনপাড়া এলাকার জনকল্যাণ স্কুলের সামনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে গুলি করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহত হয় রোমান মিয়া।
পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পূর্বগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।