Beanibazarer Alo

  সিলেট     মঙ্গলবার, ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে আজ সাক্ষ্য দেবেন হাসনাত আবদুল্লাহ

admin

প্রকাশ: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১১:১২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
আবু সাঈদ হত্যা মামলায় ট্রাইব্যুনালে আজ সাক্ষ্য দেবেন হাসনাত আবদুল্লাহ

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ, রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যা মামলায় আজ নতুন সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হবে। মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে দায়ের করা মামলাটিতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ আজ সাক্ষ্য দেবেন।

মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–২–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চে এ সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। প্যানেলের অন্য দুই বিচারক হলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ ও জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

Manual1 Ad Code

প্রসিকিউশন জানায়, সকাল ১০টার পর ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পারেন হাসনাত আবদুল্লাহ। ২২তম সাক্ষী হিসেবে তিনি জবানবন্দি দেবেন। এই মামলায় সাবেক ভিসি হাসিবুর রশীদসহ মোট ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে এএসআই আমির হোসেন, সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম, কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়, ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী, রাফিউল হাসান রাসেল ও আনোয়ার পারভেজসহ ছয়জন গ্রেপ্তার আছেন।

Manual6 Ad Code

গত ২৭ নভেম্বর টানা ১৮তম দিনের মতো ২১ নম্বর সাক্ষীর জেরা শেষ হয়। এরপরই আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। যদিও ২৪ নভেম্বর পুলিশ বিভাগের এক কর্মকর্তার জবানবন্দি নেওয়ার কথা ছিল, বিশেষ কারণবশত তা হয়নি। এর আগে ২৩ নভেম্বর এক শিক্ষার্থী সাক্ষ্য দিয়ে জানান, তিনিই আহত সাঈদকে হাসপাতালে নেন, আর মৃত ঘোষণার পর পথ থেকে পুলিশ লাশটি নিয়ে যায়। এ ছাড়া পলাতক ২৪ আসামির স্টেট ডিফেন্সসহ গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।

Manual4 Ad Code

১৮ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন শিক্ষার্থী শান-এ রওনক বসুনিয়া। একইভাবে ১৬ নভেম্বর মিঠাপুকুর থানার ওসি মো. নূরে আলম সিদ্দিক ১৭তম সাক্ষী হিসেবে ১৬ জুলাইয়ের ঘটনার পূর্ণ বিবরণ তুলে ধরেন। ১৩ নভেম্বর সাক্ষ্য দেন নায়েক আবু বকর সিদ্দিক, আর ১২ নভেম্বর এসআই (সশস্ত্র) আশরাফুল ইসলাম জানান—রংপুর কোতোয়ালি জোনের তৎকালীন এসি আরিফুজ্জামান ও তাজহাট থানার ওসি রবিউল ইসলামের নির্দেশে গুলিতে সাঈদ নিহত হন। ১১ নভেম্বর কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান আহমেদ ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষ বর্ণনা দেন। ১০ নভেম্বর আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী আকিব রেজা খানও হত্যাকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

Manual4 Ad Code

৪ নভেম্বর, ২১ ও ১৩ অক্টোবর সাক্ষী হাজির না হওয়ায় তিনবার সাক্ষ্যগ্রহণ পিছিয়ে যায়। ৬ অক্টোবর নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে দুই উপপরিদর্শক—এসআই রফিক ও এসআই রায়হানুল রাজ দুলাল—জবানবন্দি দেন। এর আগে ২৮ আগস্ট প্রথম দিন শহীদ সাঈদের বাবা মকবুল হোসেন ও সাংবাদিক মঈনুল হক সাক্ষ্য দেন।

চলতি বছরের ২৭ আগস্ট সূচনা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়। এর আগে ৬ আগস্ট ৩০ আসামির বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ গঠন করা হয়। তবে সাবেক ভিসিসহ ২৪ আসামি এখনও পলাতক। তাদের পক্ষে ২২ জুলাই রাষ্ট্রীয় ব্যয়ে চার আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।

৩০ জুলাই পলাতকদের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবীরা শুনানি করেন; এর মধ্যে পাঁচজনের পক্ষে লড়েন সুজাদ মিয়া এবং ছাত্রলীগের নিষিদ্ধ ঘোষিত নেতাদের পক্ষে ছিলেন মামুনুর রশীদ। অন্যদিকে ইশরাত জাহান ও শহিদুল ইসলামও শুনানিতে অংশ নেন।

২৯ জুলাই তিন গ্রেপ্তার আসামির পক্ষে শুনানি হয়—শরিফুলের পক্ষে আমিনুল গণি টিটো, কনস্টেবল সুজনের পক্ষে আজিজুর রহমান দুলু এবং ইমরানের পক্ষে সালাহউদ্দিন রিগ্যান বক্তব্য রাখেন। এর আগে ২৮ জুলাই অভিযোগ গঠনের ওপর প্রসিকিউশনের শুনানি শেষ হয়। ৩০ জুন চার্জ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল এবং ২৪ জুন তদন্ত সংস্থা প্রতিবেদন জমা দেয়। মামলায় মোট সাক্ষী ৬২ জন।

শেয়ার করুন