ওসমানী নগরে হোটেলে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর পেছনের কারণ কি?

Daily Ajker Sylhet

admin

০১ জানু ২০২৪, ১২:৪০ অপরাহ্ণ


ওসমানী নগরে হোটেলে ব্যবসায়ীর মৃত্যুর পেছনের কারণ কি?

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের ওসমানী নগর উপজেলায় আবাসিক হোটেল থেকে ব্যবসায়ী রুহেল মিয়ার (৪০) লাশ উদ্ধার ঘটনায় নারীর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে ধারণা করছে পুলিশ।

সোমবার (১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ওসমানীনগর থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, হোটেলে মৃত্যু হয়েছে এ ঘটনার খবর পেয়ে ব্যবসায়ীর মরদেহ তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছি।

মৃত রুহেল মিয়া ওসমানীনগরের বুরুঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিম তিলাপাড়া গ্রামের আকল মিয়ার ছেলে এবং বুরুঙ্গা বাজারের ফ্যামেলি শপের মালিক।

ওসি বলেন, ‘‘সে ব্যবসায়ী দোকানে হঠাৎ অসুস্থ হলে সেখানে থেকে হোটেলে বিশ্রামের জন্য উঠেছিল। আশেপাশের লোকজন সেবাযত্ন করেছে। ধারণা করা হচ্ছে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেছেন।’’

এদিকে, প্রবাসীর স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে হোটেলে ওই ব্যবসায়ী গিয়েছিলেন, এর ৪০ মিনিট পরেই তার মৃত্যু হয়- এমন খবর ছড়িয়েছিল। তবে এরকম কোনো তথ্য ওসি পাননি বলে জানান।

ওসি রাশেদুল হক বলেন, ‘‘হোটেলে যাওয়ার ঘটনা সত্য। অসুস্থ হওয়ার কারণে তিনি সেখানে ছিলেন। আমরা তদন্ত করে সেটা পেয়েছি। পরবর্তীতে লাশের দেহে কোনো আঘাত, বিষ কিংবা সন্দেহ জাতীয় কোনো কিছুই আমরা পাইনি। এছাড়া ব্যবসায়ীর পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো আপত্তি নেই বলে আমাদেরকে জানিয়েছে। তারপরও ময়নাতদন্ত করা হয়েছে; প্রতিবেদন পেলে পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ময়না তদন্ত শেষে রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টায় পারিবারিক কবস্থানে মৃতদেহের দাফন সম্পন্ন হয়েছে ।

জানা যায়, শনিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে গোয়ালাবাজারস্থ সম্রাট আবাসিক হোটেলের ৩১১ নম্বর কক্ষে উঠেন ব্যবসায়ী রুহেল মিয়া; সঙ্গে একজন নারীও ছিলেন ।

হোটেলে উঠার আনুমানিক ৪০ মিনিট পর রুহেলের সাথে থাকা নারী হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানান, রুহেল খুব অসুস্থ বোধ করছে। এসময় তিনি রুহেলের দোকানে কর্মচারীকে ফোন করার জন্য তাদের বলেন। কক্ষে গিয়ে ব্যবসায়ীর শারীরিক অবস্থা দেখে হোটেল কর্তৃপক্ষ তার মোবাইল ফোন থেকে ভাইয়ের নাম্বারে কল করে বিষয়টি জানান।

খবর পেয়ে ভাই মাজহারুল ইসলাম রুহেলকে নিস্তেজ অবস্থায় হোটেল কক্ষ থেকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আত্মীয় স্বজনরা ব্যবসায়ীর মৃতদেহ বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর পুলিশ মৃতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।

Sharing is caring!