Beanibazarer Alo

  সিলেট     শুক্রবার, ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৪ঠা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে সকালেও শাহবাগে ছাত্র–জনতার ঢল

admin

প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১২:৩১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ | ১২:৩১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-

Manual6 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:

Manual5 Ad Code

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সম্মুখসারির যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করেছে ছাত্র–জনতা। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল ও স্বতঃস্ফূর্তভাবে মানুষ শাহবাগে আসছেন। হাতে জাতীয় পতাকা, মুখে স্লোগানে উত্তাল হয়ে উঠেছে পুরো এলাকা।সকাল সাড়ে ৮টার দিকে শাহবাগে গিয়ে দেখা যায়, রাজধানীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ সেখানে সমবেত হচ্ছেন। ‘ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় হবে না’, ‘হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’—এমন স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে শাহবাগ চত্বর।

শনিরআখড়া থেকে আসা মাদ্রাসাশিক্ষার্থী আশফাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা একজন সাচ্চা দেশপ্রেমিককে হারিয়েছি। সারারাত ঘুমাতে পারিনি। প্রতিবাদ জানাতেই ভোরে এখানে চলে এসেছি। ওসমান হাদির মতো সাহসী মানুষকে হারিয়ে আমরা গভীরভাবে শোকাহত।’

Manual5 Ad Code

রামপুরা থেকে আসা ইমরুল কায়েস বলেন, ‘হাদির মৃত্যু পুরো দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে। আমরা এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করব। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজধানীতে বিক্ষোভ শুরু হয়। বিভিন্ন স্থানে ছাত্র–জনতা সড়কে নেমে প্রতিবাদ জানায়।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরিফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় আততায়ীর গুলিতে গুরুতর আহত হন। মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় প্রথমে ঢাকায় এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয় তাকে। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি মারা যান।

Manual8 Ad Code

হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে থমথমে ও উত্তাল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, তা ঘিরে জনমনে উদ্বেগের পাশাপাশি ক্ষোভও বাড়ছে।

Manual4 Ad Code

শেয়ার করুন