কনস্টেবল হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
০৭ নভে ২০২৩, ০৬:৫৭ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় পুলিশ কনস্টেবল আমিরুল হক পারভেজকে হত্যার ঘটনায় মামলায় প্রধান আসামি আমান উল্লাহ আমান গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান। এর আগে, সোমবার বিকেলে ঢাকার মহাখালী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সিটিটিসির একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আমান উল্লাহ আমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক।
পুলিশ জানায়, ২৮ অক্টোবর কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি আমানুল্লাহকে সোমবার রাতে মহাখালী থেকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
মো. আসাদুজ্জামান এই হামলাকে পূর্বপরিকল্পিত উল্লেখ করে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড আগে কখনও দেখেননি বলে জানান।
তিনি বলেন, “বিএনপি ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ ছিল পুলিশের ওপর হামলা করে তাদের মনোবল ভেঙে ফেলার। প্রয়োজনে তারা এক বা একাধিক পুলিশ সদস্যকে হত্যা করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “২৮ অক্টোবর কাকরাইল মোড়ে ছাত্রদল ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের সময়, আমান ও সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা সিনিয়র নেতৃত্বের নির্দেশে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ও অন্যান্য বস্তু নিক্ষেপ করে।”
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, “নিক্ষেপ করা ইটের আঘাতে পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ রাস্তায় লুটিয়ে পড়ে। কিন্তু অত্যন্ত নৃশংসভাবে হত্যা করার উদ্দেশ্যে লাঠি দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করতে থাকে। এসময় পারভেজ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ও রক্তাক্ত অবস্থায় নিথর দেহটি রাস্তায় পড়ে থাকে। পারভেজের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সারা শরীর গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। বিক্ষোভকারীরা মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য কনস্টেবল পারভেজের নিথর দেহের ওপরে বর্বরভাবে আঘাত করতে থাকে।”
তিনি বলেন, “পারভেজের মৃত্যু নিশ্চিত হলে আমান ও তার অনুসারীরা বক্স কালভার্ট রোডের পশ্চিম দিক দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।”
সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আরও বলেন, “আমান উল্লাহ আমানকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।”