Beanibazarer Alo

  সিলেট     বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

কবিরাজের চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, এক মাস পর কবর থেকে তোলা হলো মরদেহ

admin

প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৪ | ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১২ মার্চ ২০২৪ | ১১:৩৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
কবিরাজের চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু, এক মাস পর কবর থেকে তোলা হলো মরদেহ

Manual2 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভুগছিল শিশু আল ইসলাম। স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেছিলেন। ঢাকায় নেওয়ার প্রস্তুতিকালে জাজিরা উপজেলার এক কবিরাজ শিশুটির চিকিৎসা করবেন বলে তাকে ঢাকা নিতে বারণ করেন। এরপর ফকিরের চিকিৎসায় শিশুটির মৃত্যু হয়। আল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করায় আদালতের নির্দেশে এক মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি উদ্ধার করেছে পুলিশ।

Manual2 Ad Code

সোমবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে তোলা হলো আল ইসলামের মরদেহ। নিহত আল ইসলাম (২৯ দিন) জাজিরা ইউনিয়নের খোসাল শিকদার কান্দি গ্রামের রাসেল মাঝির ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ ফেব্রুয়ারি ঠান্ডাজনিত সমস্যায় আক্রান্ত ২৯ দিনের শিশু আল ইসলামকে প্রথমে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তার পরিবার। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করে। সদর হাসপাতালেও আল ইসলামের উন্নতি না হওয়ায় চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে পরামর্শ দেন। শিশুটির মা-বাবা তাকে ঢাকার নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।

Manual2 Ad Code

এমন সময় জাজিরা উপজেলার কবিরাজ মাহমুদ আকন কান্দি যিনি রহিম খান ওরফে রহিম ফকির নামে পরিচিত তিনি শিশুটির বাবাকে ফোন করে বলেন, ঢাকা নেওয়ার দরকার নেই। এটা কবিরাজি চিকিৎসা। তুমি আমার কাছে নিয়ে আসো। আমি তোমার ছেলেকে সুস্থ করে দেব।

তার কথায় বিশ্বাস করে বাবা রাসেল মাঝি শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল থেকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টার দিকে শিশুটিকে রহিম ফকিরের কাছে নিয়ে যান। এরপর রহিম ফকির শিশু আল ইসলামকে প্রতিদিন ৩ বার কবিরাজি চিকিৎসা প্রদান করেন। ফকিরের চিকিৎসা চলাকালীন সময়ে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আল ইসলাম মারা যায়। এরপর শিশু আল ইসলামের বাবা রাসেল মাঝি ৫ জনকে আসামি করে জাজিরা থানায় মামলা দায়ের করলে আদালত শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন পুলিশকে। পুলিশ শিশুটি দাফনের ১ মাস ৩ দিন পর জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফুর রহমানের উপস্থিতিতে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে।

শিশুটির বাবা রাসেল মাঝি বলেন, কেউ যেন ফকিরের (কবিরাজ) কথা বিশ্বাস না করে। ফকির আমার ছেলেকে শেষ করে দিছে। আমি এর বিচার চাই।

Manual2 Ad Code

জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, আদালতের নির্দেশে শিশু আল ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে শরীয়তপুর হাসপাতালে পাঠিয়েছি। ময়নাতদন্তের পর মরেদহ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

Manual3 Ad Code

শেয়ার করুন