Beanibazarer Alo

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ৩রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গোলাপগঞ্জে হত্যা মামলার খবর জানেন না বাদী!

admin

প্রকাশ: ২৭ আগস্ট ২০২৪ | ১২:৫৬ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৭ আগস্ট ২০২৪ | ১২:৫৬ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
গোলাপগঞ্জে হত্যা মামলার খবর জানেন না বাদী!

Manual4 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সিলেটের গোলাপগঞ্জে গৌছ উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা দায়ের নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। থানায় দায়ের করা মামলায় সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ও সাবেক স্থানীয় সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদসহ ১৩৫ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে।

Manual1 Ad Code

আন্দোলনকারীদের উপর পুলিশ গুলি চালালেও রহস্যজনক কারণে মামলায় কোন পুলিশ সদস্যকে আসামী করা হয়নি। যদিও গৌছ নিহতের পর দাবি ওঠেছিল পুলিশের গুলিতেই তিনি মারা গেছেন।

মামলার বাদী গৌছ উদ্দিনের ভাতিজা রেজাউল করিমসহ পরিবারের সদস্যদের দাবি এই মামলার ব্যাপারে তারা কিছুই জানেন না। কাজের কথা বলে কিছু লোক রেজাউলের আইডিকার্ডের ফটোকপি নিয়ে স্বাক্ষর জাল করে এই মামলা দায়ের করেছে।

Manual4 Ad Code

জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট গোলাপগঞ্জ পৌরসদরে ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। এসময় গোলাপগঞ্জ পৌরসভার ঘোষগাঁওয়ের মৃত মোবারক আলীর ছেলে গৌছ উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

হত্যাকান্ডের ঘটনায় গত শনিবার গোলাপগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী হিসেবে উল্লেখ করা হয় নিহত গৌছ উদ্দিনের ভাতিজা উত্তর ঘোষগাঁওয়ের সেলিম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল করিমের নাম। মামলায় সিলেট-৬ আসনের (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ ১৩৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও দুই থেকে আড়াইশ’ জনকে আসামি করা হয়।

মামলায় উল্লেখ করা হয়, ঘটনার সময় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীদের সাথে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা গুলি করেছে। কিন্তু মামলায় পুলিশের কোন কর্মকর্তা বা সদস্যকে আসামী করা হয়নি।

মামলার বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চাউর হলে মামলার বাদী রেজাউল করিম এবং তার পরিবারের সদস্যদের দৃষ্টিগোচর হয়। এরপর এক ভিডিও বার্তায় রেজাউল করিম মামলা দায়েরের বিষয়টি অস্বীকার করেন।

Manual8 Ad Code

তিনি বলেন, ‘আমার চাচা নিহতের ঘটনায় কে বা কারা আমার স্বাক্ষর জাল করে থানায় মামলা দায়ের করেছে। আসামী করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে হয়রানি করা হচ্ছে। এ অভিযোগ সম্পর্কে আমি বা আমার পরিবারের সদস্যরা কিছুই জানেন না।’

নিহত গৌছের ভাই আবুল কালাম তার বক্তব্যে বলেন, ‘কে বা কারা নির্দোষ মানুষকে হয়রানি করছে। আমরা থানায় কোন মামরা করিনি। আমার মা অসুস্থ। তাকে নিয়ে আমরা ব্যস্ত। আমরা কোন নির্দোষ মানুষকে হয়রানি করবো না।’

গৌছ উদ্দিনের আরেক ভাই শামীম আহমদ বলেন, ‘ফেসবুকে দেখেছি আমার ভাই হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা হয়েছে। অনেক নিরীহ লোকককে আসামীর তালিকায় রাখা হয়েছে। আমার ভাইয়ের সাথের অনেককে আসামী করা হয়েছে। এসব করলে নিরীহ মানুুষের অভিশাপ লাগবে।’

গৌছ উদ্দিনের অসুস্থ মা এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘আমি কিছুই জানি না। আমার ছেলেদের নিষেধ দিয়েছি এখন মামলা না করতে। আমি সুস্থ হওয়ার পর যা করার দরকার তা তারা করবে।’

Manual6 Ad Code

শেয়ার করুন