চিলিকে হারিয়ে কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

Daily Ajker Sylhet

admin

২৬ জুন ২০২৪, ১১:০৬ পূর্বাহ্ণ


চিলিকে হারিয়ে কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনা

স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যাচের তখন ২ মিনিট বাকি। চিলি চেষ্টার কোনো রকমে সময় নষ্ট করে হলেও আর্জেন্টিনাকে রুখে দেওয়া। কেননা, তখনও যে কোনো গোলই করতে পারেনি আর্জেন্টিনা। তবে তাদের সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে আর্জেন্টিনাকে গোলের আনন্দে ভাসিয়েছেন লাউতারো মার্তিনেজ। ৮৮ মিনিটে করা তার একমাত্র গোলে চিলিকে ১-০ গোলে হারিয়ে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই কোপার কোয়ার্টার ফাইনালে পা রেখেছে আর্জেন্টিনা।

অথচ, এদিনও শঙ্কা ঝেঁকে বসেছিল আর্জেন্টিনার। মেসি-ডি মারিয়াদের একের পর এক গোল মিসে হতাশা বাড়ছিল সমর্থকদের মধ্যে। মনে হচ্ছিল ২০১৬ সালে কোপার ফাইনালে চিলির বিপক্ষে এই মাঠে হারের শোধটা আজও নেওয়া হবে না আলবিসেলেস্তেদের। তবে শেষ পর্যন্ত সব শঙ্কা কাটিয়ে আর্জেন্টিনাকে কাঙ্ক্ষিত জয়টা এনে দিয়েছেন মার্তিনেজ। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তার গোলে জয় পেল আর্জেন্টিনা।

এর আগে, কানাডার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচেও প্রথমার্ধে গোল পায়নি আর্জেন্টিনা। এরপর দ্বিতীয়ার্ধে ২ গোল করে ম্যাচ জিতেছিল। দ্বিতীয় ম্যাচেও হলো তাই। ম্যাচের প্রথমার্ধে ৬২ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের উদ্দেশে মোট ৯টি শট নিয়েছে আর্জেন্টিনা। যার মধ্যে ৩টিই ছিল অনটার্গেট। ম্যাচের ৩৫ মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে মেসির নেওয়া জোরাল শটটি তো গোল হতে হাতেও হয়নি শেষ পর্যন্ত। তা না হলে হয়তো প্রথমার্ধেই লিডটা পেয়ে স্বস্তি নিয়ে বিরতিতে যেতে পারত আর্জেন্টিনা।

এরপর দ্বিতীয়ার্ধেও মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায় আর্জেন্টিনা। ম্যাচের ৫৫ মিনিটে অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টারের নিশ্চিত গোল হতে যাওয়া বলটি রুখে দেন চিলির গোলরক্ষক ক্লাদিও ব্রাভো। ৬০ মিনিটে চিলির এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলের উদ্দেশ্যে জোরাল শট নেন নিকোলাস গনঞ্জালেস। তার সেই শট গোলরক্ষক ঠেকাতে গিয়েও পারেননি। তবে শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার সেই গোলে বাধা হয়ে দাঁড়ায় ক্রসবার। নিশ্চিত গোল হজম করা থেকে বেঁচে যায় চিলি। আফসোস সঙ্গী হয় আর্জেন্টিনার।

এরপর আক্রমণের গতি কিছুটা কমতে শুরু করলে ৫টি পরিবর্তন আনে কোচ লিওনেল স্কালোনি। কাজও হয় তাতে। শুরুতে সময় লাগলেও ম্যাচের ৮৮ মিনিটে চিলির সর্বনাশটা করে আসেন মার্তিনেজ। গোলটি নিয়ে অফসাইটের দাবি তুলে চিলি। তবে ভিএআর চেকে দেখা যায় অফসাইডে ছিল না মার্তিনেজ। গোলের উদযাপনে মাতে আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত সেই উদযাপন ধরে রেখেই মাঠ ছেড়েছে দলটি।

Sharing is caring!