Beanibazarer Alo

  সিলেট     শনিবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জাহাজে পণ্য আটকে কৃত্রিম সংকট, এজেন্টদের বিরুদ্ধে মালিকদের অভিযোগ

admin

প্রকাশ: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ | ০৬:৩৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৬ নভেম্বর ২০২৫ | ০৬:৩৫ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
জাহাজে পণ্য আটকে কৃত্রিম সংকট, এজেন্টদের বিরুদ্ধে মালিকদের অভিযোগ

Manual5 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
পণ্যভর্তি জাহাজ ভাসমান রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে কিছু এজেন্ট, এমন অভিযোগ তুলেছে জাহাজ মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স এসোসিয়েশন। রোববার (১৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতারা এ অভিযোগ করেন।

Manual6 Ad Code

সংগঠনের দাবি, নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেলেও পণ্য খালাস না করায় জাহাজ মালিকদের বিপুল লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে। এ সময় পরিবহন ভাড়া আটকে রাখাসহ নানা ধরনের হয়রানিরও অভিযোগ করা হয় এজেন্টদের বিরুদ্ধে।

জাহাজ মালিকরা জানান, দীর্ঘ সময় ধরে এ ধরনের পরিস্থিতি চলতে থাকলে দেশের জাহাজ শিল্প হুমকির মুখে পড়বে। এতে এই খাতের সঙ্গে জড়িত লক্ষাধিক শ্রমিক বেকার হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

মেহবুব কবির বলেন, আমরা প্রকাশিত পণ্য পরিবহন নীতিমালা অনুযায়ী সিরিয়ালে নৌপথে পণ্য পরিবহন করলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের কতিপয় পণ্যের এজেন্ট সিন্ডিকেট সিরিয়াল বিহীন পণ্য পরিবহন করছে। আমরা নীতিমালা অনুযায়ী সিরিয়ালে বসে থেকেও ২ থেকে ৩ মাসে একটি ট্রিপ পণ্য পরিবহন করছি। অন্যদিকে সিরিয়াল বিহীন চলাচলকারী জাহাজগুলো অবৈধভাবে মাসে ৩ থেকে ৪ ট্রিপ পণ্য পরিবহন করছে। কিছু ফ্যাক্টরির মালিকগণ নীতিমালা বহির্ভূতভাবে চার্টার জাহাজ দিয়ে পণ্য পরিবহন করছে।

Manual2 Ad Code

তিনি আরও বলেন, কয়েকটি পণ্যের এজেন্ট আমাদের সাধারণ জাহাজ মালিকদের শত শত কোটি টাকা আটকিয়ে একটার পর একটা জাহাজ ক্রয় করছে। অথচ, আমাদের জাহাজগুলো স্ক্রাপ হয়ে যাচ্ছে। হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে একসময় জাহাজের সংকট প্রকট হয়ে পড়বে। ফ্যাক্টরি মালিকগণ তাদের জাহাজ দিয়ে তাদের নিজস্ব পণ্য পরিবহণ করেন। আর আমরা আমাদের জাহাজ দিয়ে সারা দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চাল, ডাল, গম খাদ্যশস্য সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন করে থাকি। এই সেক্টর ধ্বংস হলে দেশের অর্থনৈতিক ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

এছাড়া কয়েকটি পণ্যের এজেন্টরা আমাদের জাহাজগুলোকে ভাসমান গোডাউন বানিয়ে বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অবৈধ মুনাফা অর্জন করছে। যেখানে নিয়ম অনুযায়ী ছোট জাহাজ সর্বোচ্চ ৮ দিনে এবং বড় জাহাজ ১১ দিনে খালি করার কথা থাকলেও ১০ থেকে ১১ মাস ভাসমান গোডাউন করে রেখেছে।

এসব সমস্যা সমাধান না হলে অচিরেই আরও জাহাজ স্ক্রাপ হয়ে যাবে। অবশিষ্ট যা থাকবে, সেগুলোর স্টাফ বেতন, জ্বালানি তেল, জাহাজের মেরামত ও অন্যান্য খরচ পরিশোধ করতে না পারায় জাহাজ চালানো সম্ভব হবে না। আমরা সরকারি নীতিমালার পক্ষে, আমরা শুধু সরকারি নীতিমালার বাস্তবায়ন চাই।

সংবাদ সম্মেলনে যেসব দাবি উপস্থাপন করা হয় সেগুলো হলো-

১. পণ্য পরিবহন নীতিমালা-২০২৪ বাস্তবায়ন করতে হবে।

Manual3 Ad Code

২. নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করতে হবে।

৩. বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলের পণ্যের এজেন্টের সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।

৪. বিডব্লিউটিসিসি পরিচালনা পরিষদ সংখ্যাগরিষ্ঠর ভিত্তিতে হতে হবে।

৫. বকেয়া ড্যামারেজের ২১১ কোটি টাকা সহ চলমান সমস্ত ভাড়া পরিশোধ করতে হবে।

৬. পণ্য পরিবহন করে জাহাজ ভাসমান গোডাউন করা বন্ধ করতে হবে।

৭. সমস্ত জাহাজ নৌ নীতিমালা অনুযায়ী সিরিয়ালভুক্ত হয়ে চলতে হবে।

৮. ফ্যাক্টরি মালিকদের নীতিমালা বহির্ভূত চার্টার জাহাজে পণ্য পরিবহণ বন্ধ করতে হবে।

Manual7 Ad Code

৯. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী ন্যাশনাল অর্গানাইজেশনের সদস্যব্যতিত কমার্সিয়াল পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে হবে।

১০. সমুদ্র বন্দর থেকে বাল্কহেডে পণ্য পরিবহন বন্ধ করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- কোস্টাল শীপ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশিদ আলম, বাংলাদেশ কার্গো ভেসেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মেহবুব কবির প্রমুখ।

শেয়ার করুন