Beanibazarer Alo

  সিলেট     সোমবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জোবায়েদকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী ও মাহির: পুলিশ

admin

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৫ | ০১:০৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২১ অক্টোবর ২০২৫ | ০১:০৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
জোবায়েদকে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী ও মাহির: পুলিশ

Manual1 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জোবায়েদ হোসেনকে হত্যার দায় প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছেন ওই ছাত্রী ও মাহির রহমান। আরও এক মাস আগে এই হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা করা হয় বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

Manual2 Ad Code

অভিযুক্ত ছাত্রী ও মাহিরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এসব তথ্য জানিয়েছে পুলিশ।

Manual1 Ad Code

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে বংশাল থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, অভিযুক্ত ওই ছাত্রী ও মাহিরকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছেন তারা।

Manual5 Ad Code

ওসি রফিকুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ৯ বছরের প্রেমের সম্পর্কের ইতি টেনে টিউশনির শিক্ষক জোবায়েদ হোসেনকে পছন্দ করেন তার ওই ছাত্রী। এ বিষয়ে প্রাক্তন প্রেমিক মাহির রহমানকে সরাসরি জানান তিনি। সম্প্রতি জোবায়েদের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন ওই মেয়ে। এরপরই গত ২৫ সেপ্টেম্বর তিনি ও মাহির একসঙ্গে জোবায়েদকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

ওসি আরও জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী, গত রোববার সন্ধ্যার আগে টিউশনিতে যাওয়ার সময় আরমানিটোলার নুরবক্স রোডের রৌশান ভিলার নিচে জোবায়েদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন মাহির। এ সময় তার সঙ্গে ছিল বন্ধু ফারদিন আহম্মেদ আয়লান। জোবায়েদের অবস্থানসহ সার্বিক বিষয়ে সহযোগিতা করেন ওই ছাত্রী।

জোবায়েদ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। একইসঙ্গে জবিস্থ কুমিল্লা জেলা ছাত্র কল্যাণের সভাপতি ও শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সদস্য ছিলেন তিনি। গত এক বছর ধরে জোবায়েদ হোসাইন পুরান ঢাকার আরমানীটোলায় নুরবক্স লেনে রৌশান ভিলা নামের বাসায় বর্ষা নামের এক ছাত্রীকে ফিজিক্স ক্যামেস্ট্রি ও বায়োলজি পড়াতেন। রোববার আনুমানিক বিকেল ৪টার ৪৫ মিনিটের দিকে ছাত্রীর বাসার তিন তলায় তিনি খুন হন। বাসার নিচ তলার সিঁড়ি থেকে তিন তলা পর্যন্ত সিঁড়িতে রক্ত পড়েছিল। তিন তলার সিঁড়িতে উপুড় হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায় তাকে।

সে রাতেই পুলিশ ওই মেয়েকে হেফাজতে নেয়। পরদিন প্রধান আসামি মাহির রহমান ও তার সহযোগী ফারদিন আহম্মেদ আয়লানকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

Manual4 Ad Code

শেয়ার করুন