Beanibazarer Alo

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ডা. নিতাই হত্যা: ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

admin

প্রকাশ: ১৭ আগস্ট ২০২৫ | ০৩:৩১ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৭ আগস্ট ২০২৫ | ০৩:৩১ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
ডা. নিতাই হত্যা: ৫ আসামির মৃত্যুদণ্ড, ৪ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

Manual6 Ad Code

কোর্ট রিপোর্টার :
তের বছর আগে রাজধানীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নিতাই হত্যা মামলায় পাঁচ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে চার আসামিকে আমৃত্যু কারাদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

Manual4 Ad Code

রোববার (১৭ আগস্ট) ঢাকার দশম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় ১০ আসামিকেই কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদের আবার কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউটর মোয়াজ্জেম হোসেন।

Manual3 Ad Code

রায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—কামরুল হাসান অরুণ, মাসুম মিন্টু, সাইদ ব্যাপারী, বকুল মিয়া এবং সাইদ মিজি। এছাড়া আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন আবুল কালাম, সাইদুল, ফয়সাল ও পেদা মাসুম। আর রফিকুল ইসলামকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

২০১২ সালের ২৩ অগাস্ট রাতে মহাখালীতে হাসপাতালের আবাসিক এলাকায় নিজ বাসায় খুন হন আওয়ামী লীগ সমর্থিত স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের নেতা ও বক্ষব্যাধি হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডা. নিতাই। ঘটনার সময় বাসায় ছিলেন তার বৃদ্ধা মা। স্ত্রী লাকী চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রামে।

Manual3 Ad Code

হত্যাকাণ্ডের পরদিন নিতাইয়ের বাবা বনানী থানায় মামলা করেন। ছয় মাসের তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক গাজী আতাউর রহমান ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন। তদন্তে উঠে আসে, চুরির সময় ঘটনাটি দেখে ফেলায় নিতাইকে হত্যা করা হয়। এরপর আসামিরা বাসা থেকে পাঁচ লাখ টাকা ও দুটি স্বর্ণের বালা নিয়ে যায়।

পুলিশ জানায়, আসামিরা ‘পেশাদার চোর’। তাদের মধ্যে নিহত চিকিৎসকের গাড়িচালক অরুণও ছিল। এ মামলার আসামিদের মধ্যে পাঁচজনকে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলাতেও গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছিল। তবে ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও শেষ হয়নি।

২০১৩ সালের ২২ জুলাই অভিযোগ গঠন হয় এবং ২০১৪ সালের ২৮ জানুয়ারি ডা. নিতাইয়ের বাবা তড়িৎ কান্তির সাক্ষ্যগ্রহণের মাধ্যমে বিচার শুরু করে আদালত। দীর্ঘ শুনানি ও বিচারক পরিবর্তনের পর অবশেষে রোববার বিচারক রেজাউল করিম দশ আসামির সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করে রায় ঘোষণা করেন।

Manual5 Ad Code

শেয়ার করুন