Beanibazarer Alo

  সিলেট     শনিবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নতুন সম্ভাবনায় জেগে উঠছে সিলেটের পর্যটন খাত

admin

প্রকাশ: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ০১:৩৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ | ০১:৩৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
নতুন সম্ভাবনায় জেগে উঠছে সিলেটের পর্যটন খাত

Manual3 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে ঘেরা সিলেট সবসময়ই ভ্রমণপিপাসুদের কাছে অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য। জেলার আনাচেকানাচে ছড়িয়ে থাকা অসংখ্য পর্যটন স্পট প্রতিদিনই টানে হাজারো দর্শনার্থীকে। তবে সাদা পাথর কাণ্ডের পর থেকেই এ খাতের নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল বারবার।

দীর্ঘদিন ধরে সিলেটবাসী দাবি জানিয়ে আসছিলেন পর্যটন খাতকে পরিবেশবান্ধব করার। অবশেষে সেই দাবিকে বাস্তবায়নের পথে বড় পদক্ষেপ নিল সরকার। জেলার জনপ্রিয় ছয়টি পর্যটন স্পট বিছানাকান্দি, সাদা পাথর, জাফলং, উৎমাছড়া, লালাখাল ও রাতারগুলকে কেন্দ্র করে মাস্টারপ্ল্যান হাতে নেওয়া হয়েছে। এর লক্ষ্য প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা, স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও পর্যটনকে আরও আকর্ষণীয় ও পরিবেশবান্ধব করে তোলা।

সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম বলেন, এই মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে পর্যটন খাত নতুনভাবে বিকশিত হবে। সরকারের এ উদ্যোগে আশাবাদী স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রিতা যেন না হয়, সে পরামর্শ দিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্টরা।

Manual3 Ad Code

সিলেট হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউস ওনার্স গ্রুপের সাবেক সভাপতি সুমাত নূরী চৌধুরী জুয়েল বলেন, এই পরিকল্পনা দ্রুত বাস্তবায়ন হলে সিলেটে পর্যটন খাতের সম্ভাবনা বহুগুণে বাড়বে।

Manual7 Ad Code

ইতিমধ্যেই মাস্টারপ্ল্যানের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে সাদা পাথর এলাকা পরিদর্শন করেছেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও পরিবেশ-স্থাপত্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত ১৩ সদস্যের কমিটি। তারা ধাপে ধাপে অন্য স্পটগুলোও ঘুরে দেখবেন।

স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ এম আহমেদ বলেন, আমরা পর্যটনকে আধুনিক ও পরিবেশবান্ধব করার নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।
একইসঙ্গে সবুজ সচেতন স্থাপত্যের প্রবক্তা অধ্যাপক মো. রফিক আজম জানান, পর্যটন অবকাঠামো উন্নয়নে প্রাকৃতিক পরিবেশ অক্ষুণ্ন রাখাই মূল লক্ষ্য।

Manual4 Ad Code

মাস্টারপ্ল্যান সমন্বয় কমিটির সভাপতি ড. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, পরিবেশকে অগ্রাধিকার দিয়েই পর্যটন খাতের উন্নয়ন করা হবে। একইসঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে নেদারল্যান্ডস সরকারের সম্ভাব্য অর্থায়নের কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়িত হলে বদলে যাবে সিলেটের সামগ্রিক অর্থনীতি ও পর্যটনের চিত্র। সৃষ্টি হবে নতুন কর্মসংস্থান, আর ভ্রমণপিপাসুদের জন্য সিলেট হয়ে উঠবে আরও আকর্ষণীয় ও পরিবেশবান্ধব পর্যটন গন্তব্য।

Manual6 Ad Code

শেয়ার করুন