Beanibazarer Alo

  সিলেট     শনিবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নভেম্বরেই গণভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতসহ ৮ দল

admin

প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | ০১:৪৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৫ | ০১:৪৫ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
নভেম্বরেই গণভোটের দাবিতে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতসহ ৮ দল

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দেওয়ার জন্য আগামী নভেম্বরেই গণভোটের দাবিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে স্মারকলিপি দিতে বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলনসহ মোট আটটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিনিধিদল।

এই দলগুলোর নেতাকর্মীরা বেলা ১১টা থেকে নির্বাচন কমিশনের সামনে জড়ো হতে শুরু করে এবং সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে।

Manual6 Ad Code

এই আটটি দল হলো, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

Manual4 Ad Code

সকালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচন ভবনের সামনে এবং জামায়াতে ইসলামী মেট্রোরেল স্টেশনের কাছে পাকা মার্কেট সংলগ্ন সড়কের পাশে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে সমাবেশ করে। জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, মোবারক হোসেন, রেজাউল করিম, নাজিম উদ্দিন মোল্লাসহ শ’খানেক নেতাকর্মী এই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।

এসব সমাবেশে রাজনীতিকরা বলছেন, জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারি করে নভেম্বরে গণভোট করতে হবে এবং সংসদ নির্বাচনে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে। জামায়াতের নেতা নাজিম উদ্দিন মোল্লা বলেন, “নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করতে হবে। আমরা আট দল মিলে ইসির কাছে স্মারকলিপি দেব।”

নেতারা হুঁশিয়ারি দেন যে, তাদের দাবি না মানলে বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে ‘বিগত ইসির পরিণতি ভোগ করতে হবে’। জামায়াত নেতারা একই দিনে গণভোট ও সংসদ নির্বাচনে বিএনপির দাবির কঠোর সমালোচনা করেন।

এই আটটি রাজনৈতিক দল গত ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ দফা দাবি নিয়ে আন্দোলন করে আসছে। বৃহস্পতিবারের স্মারকলিপি প্রদানের কর্মসূচীটি তাদের চলমান আন্দোলনের চতুর্থ পর্বের অংশ। তাদের ৫ দফা দাবিগুলো হলো:

Manual1 Ad Code

১. জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে আদেশ জারি এবং ওই আদেশের ওপর আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যে গণভোট আয়োজন করা।
২. আগামী জাতীয় নির্বাচনে উভয়কক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতি চালু করা।
৩. অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা।
৪. ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা।
৫. ‘স্বৈরাচারের দোসর’ জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

Manual1 Ad Code

শেয়ার করুন