হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় এক নারীকে হত্যার পর প্রতিপক্ষকে ফাসানোর চেষ্টার দায়ে ৪ আসামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত দায়রা জজ একেএম কামাল উদ্দিন এ আদেশ দেন। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার মদনপুর গ্রামের আল আমিন, মায়ানগরের ছদর আলী, উত্তমপুরের তাজ উদ্দিন ও স্থানীয় ইংল্যান্ড প্রবাসী মহিউদ্দিন আহমেদ ওরফে সুফি মিয়া।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ সালের ১০ ডিসেম্বর নবীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমানের বাড়ির সীমানা প্রাচীরের নিকট থেকে জ্যোৎস্না বেগম নামে এক নারীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই নারীর বাড়ি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার উচাইল চারিনাও গ্রামে। এ ঘটনার পর মিজানুরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন মৃত নারীর ভাই রজব আলী।
কিন্তু পরবর্তীতে পুলিশের তিন দফা তদন্তে বের হয়ে আসে মিজানুরকে ফাঁসানোর জন্য ইংল্যান্ড প্রবাসী সুফি মিয়া অন্যান্য আসামীদের সাথে মিলে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে জ্যোৎস্নাকে হত্যা করিয়ে ওই যুবলীগ নেতাকে ফাঁসানোর জন্য মামলা দায়ের করান। পরে সিআইডি এ চক্রান্তের সাথে জড়িত আল আমিন, ছদর আলী, তাজ উদ্দিন ও সুফি মিয়াসহ ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এর আগে ছদর আলী ও তাজ উদ্দিন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এরপর ঘটনার ১১ বছর পর আদালত ২৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযুক্তদের মধ্যে ওই চারজনকে দন্ডবিধির ৩০২ ধারা ও পঠিত ৩৪ ধারায় দোষী স্বাব্যস্থ করে মৃত্যুদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের বেঞ্চ সহকারি তপন সিংহ জানান, রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামীর সবাই পলাতক ছিলেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
সহ সম্পাদকঃ মোঃ সুমন আহমদ
সার্বিক ব্যবস্থাপকঃ মোঃ আলী হোসেন
স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃ আবুল হাসান আহমদ,
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার
সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার, মেইন রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: beanibazareralo@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।