পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পরও সিলেটে থার্টি ফার্স্ট নাইটে শব্দবাজি

Daily Ajker Sylhet

admin

০১ জানু ২০২৫, ০৫:৩০ অপরাহ্ণ


পুলিশের নিষেধাজ্ঞার পরও সিলেটে থার্টি ফার্স্ট নাইটে শব্দবাজি

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট মহানগরবাসীর অভিযোগ। পুলিশ নিষেধাজ্ঞা দেয়, সেটি বাস্তবায়নে তাদের ভূমিকা থাকে ঢিলেঢালা। এবারও এর ব্যতিক্রম হয়নি।

৩১ ডিসেম্বর (মঙ্গলবার) দিনে সিলেটে থার্টি ফার্স্ট নাইটে শব্দবাজি করে আতঙ্ক বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা যাবে না মর্মে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও রাতে ঠিকই পটকা ও আতশবাজির শব্দে কেঁপে উঠে মহানগরের বিভিন্ন এলাকা। তবে এ বিষয়ে পুলিশের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ দেখা যায়নি।

তবে পুলিশ বলছে- প্রকাশ্যে এমন ঘটনা সিলেটে মঙ্গলবার রাতে ঘটেনি। কেউ অভিযোগও করেনি।

‘অভিযোগ নেই’ এমন বক্তব্য পুলিশের থাকলেও মঙ্গলবার রাতে সিলেট মহানগরের অন্তত: ১০টি এলাকার মানুষের কাছ থেকে পটকা ফুটানো ও আতশবাজির মাধ্যমে শব্দদূষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মধ্যরাতে মহানগরের খাসদবীর এলাকার বাসিন্দা রবিউস সানি বলেন- মুহুর্মহু বিকট শব্দে উঠছে তাঁর এলাকার আকাশ। রোগী, শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে স্বজনরা আছেন আতঙ্কে।

একই সময়ে অভিযোগ আসে মহানগরের শিবগঞ্জ ও দক্ষিণ সুরমার কয়েকটি এলাকা থেকে।

এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিট পুলিশের (এসএমপি) মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন- আমাদের কাছে কেউ এমন অভিযোগ করেনি। প্রকাশ্যে কেউ পটকা ফুটাতে ও আতশবাজি করতে পারেনি।

এদিকে, থার্টিফার্স্ট নাইটে শব্দদূষণ সংক্রান্ত ১ হাজার ১৮৫টি কল আসে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ। বুধবার (১ জানুয়ারি) জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এর গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন- ইংরেজি বর্ষবরণের প্রাক্কালে উচ্চশব্দে গান-বাজনা, হৈহুল্লোড়, আতশবাজি ইত্যাদি শব্দদূষণ প্রতিকারে ৯৯৯ নম্বরে মোট ১ হাজার ১৮৫টি কল গৃহীত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা মহানগর থেকে ৩৮৭টি কল এবং দেশের অন্যান্য স্থান থেকে ৭৯৮টি কল গৃহীত হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে ‘জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯’ এর পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে বিষয়টি জানিয়ে প্রতিকারের চেষ্টা করা হয়।

উল্লেখ্য, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন করতে গিয়ে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না করার আহ্বান জানিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।

মঙ্গলবার দিনে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসএমপি কমিশনার মো. রেজাউল করিম জানান- ইংরেজি নববর্ষ (থার্টি ফার্স্ট নাইট) উপলক্ষ্যে সিলেট মহানগরের সকল প্রকার গান-বাজনা, বাদ্য-বাজনা, হর্ণ বাজানো, বাজি পোড়ানো, পটকা ফুটানো, ঢাক-ঢোল বাজানো, লাউড স্পিকার ব্যবহার, বিস্ফোরক দ্রব্য বহন এবং মাদকদ্রব্যের দোকান বা পানশালা বন্ধ ও মাদকদ্রব্য বিক্রয় ও ব্যবহার পুলিশের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ করা হলো। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬ থেকে পরদিন (বুধবার) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট মহানগরের সব এলাকার জন্য নিষেধাজ্ঞাটি প্রযোজ্য। কেউ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

অপরদিকে, থার্টি ফার্স্ট নাইট ও ইংরেজি নববর্ষ-২০২৫ উপলক্ষে সিলেটে সচতেন অভিভাবকদের পক্ষ সর্তকতামূলক প্রচারণা চালানো হয়। তরুণ ও যুবক প্রজন্মকে থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঘরে থাকার এবং বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি না করার পরামর্শ দিয়ে মঙ্গলবার দিনভর সিলেট মহানগরে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে মাইকিং করা হয়।
কিন্তু এতকিছুর পরও থার্টি ফার্স্ট নাইটে সিলেটে হয় শব্দবাজি।

Sharing is caring!