Beanibazarer Alo

  সিলেট     শনিবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ফিরে দেখা ২০২৪ : সিলেট হারিয়েছে অনেক চিরচেনা মুখ

admin

প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০৮:৪৫ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১০:৪৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-

Manual7 Ad Code

আবু তাহের ও আলী হোসেন:

Manual8 Ad Code

নতুন উদ্যমে শুরু হবে নতুন বছর। কালের পরিক্রমায় হারিয়ে যাচ্ছে ৩৬৫ দিনের আরো একটি বছর ২০২৪। দিন যায়, মাস যায়, বছর যায়। সময়ের বিবর্তনে হারায় অনেক কিছু। তেমনি চলে যাওয়া বছরে সিলেটবাসী হারিয়েছে অনেক চিরচেনা মুখ। যারা তাদের জীবনে স্বমহিমায় ছিলেন উজ্জ্বল। প্রস্থানের পরও তাদের স্মরণ করবে সিলেটবাসী।

ডা. সালেহা খাতুন: ‘লেডি ডাক্তার’ খ‍্যাত সুনামগঞ্জের প্রথম নারী

 

 

Manual6 Ad Code

এমবিবিএস-চিকিৎসক ও সিলেটের মাতৃমঙ্গল হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাকালীন চিকিৎসক ডা. সালেহা খাতুন (৮৮) গত ২২ মে সিলেট নগরীর কুমারপাড়ায় নিজ বাসায় ইন্তেকাল করেন। তিনি ব্রিটিশ শাসনাধীন পূর্ববঙ্গে ১৯৩৯ খ্রিস্টাব্দের ৬ নভেম্বর তৎকালীন সিলেট জেলার সুনামগঞ্জ মহকুমায় জন্মগ্রহণ করেন। সুনামগঞ্জ শহরের আরপিননগরস্থ ‘বখত বাড়ি’তে জন্মগ্রহণকারী ডা. সালেহা খাতুনের পিতা মরহুম শাহ বখত ছিলেন একজন পাবলিক সার্ভেন্ট।

 

 

শাহ মুহাম্মদ আবিদ আলী

মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর প্রতিষ্ঠিত জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান, মুক্তিযুদ্ধের যুব সংগঠক, বার্মিংহাম যুক্তরাজ্য, মুক্তিযুদ্ধ ৭১ ফাউন্ডেশন ও ওসমানী স্মৃতি পরিষদ এর চেয়ারম্যান শাহ মুহাম্মদ আবিদ আলী এ বছরের এপ্রিল মাসের ১৮ তারিখ হঠাৎ গুরুতর অসুস্থ হয়ে যুক্তরাজ্যের বার্মিংহাম একটি হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৭ এপ্রিল দিবাগত রাত ১২ টায় ইন্তেকাল করেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন

মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সত্তরের দশকের ছাত্রনেতা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শাখার প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদ সদস্য, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ রণিখাই ইউনিয়নের গৌরীনগর গ্রামের বাসিন্দা বিশিষ্ট সমাজসেবী ও রাজনীতিবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুল আমিন ইন্তেকাল করেন। গত ২৬ মে আম্বরখানা বড়বাজারস্থ নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন তিনি।

Manual3 Ad Code

 

 

পাগল হাসান

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলায় যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজি অটোরিক্সার মুখোমুখি সংঘর্ষে খ্যাতিমান সঙ্গীতশিল্পী পাগল হাসানসহ দুইজন নিহত হন। ১৮ এপ্রিল ভোরে উপজেলার সুরমা ব্রিজের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

 

 

ঘটনার দিন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায় একটি অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন হাসান। সকালে একটি অটোরিকশায় করে তিনি ও তার সঙ্গীরা বাড়ি ফিরছিলেন। পথে সকাল ছয়টার দিকে ছাতকের সুরমা সেতু এলাকায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে ওই অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলেই হাসান ও তার সাথে অটোরিকশায় থাকা ছাত্তার মিয়া নিহত হন। আহত হন একই গ্রামের জাহাঙ্গীর, রূপণ ও লায়েছ।

শিল্পী পাগল হাসানের ‘আসমানে যাইও নারে বন্ধু…’, ‘জীবনখাতায় প্রেম কলঙ্ক…’, ‘মন আমার মরা নদী…’, ‘মাটির বালাখান…’ এমন বেশ কিছু জনপ্রিয় গান আছে। তিনি শিল্পী, গীতিকার ও সুরকার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবরে সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।

আরও যাদেরকে হারালাম

 

 

Manual6 Ad Code

বিদায়ী বছর সাথে নিয়ে যাওয়া গুণীজনদের তালিকা অনেক দীর্ঘ। সিলেটবাসী আরো যাদেরকে হারালো তারা হলেন, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক মানবজমিন উপজেলা প্রতিনিধি শংকর রায়, সিলেটের কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক, গীতিকার ও লেখক শক্তিপদ দত্ত, ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রবীণ শিক্ষক (মাওলানা স্যার) মাওলানা মো. মুশাহিদ আলী আজমী, ওসমানীনগর উপজেলার দীর্ঘ ৪৫ বছর ধরে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার আব্দুল জহুর শুকুর এবং গোলাপগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা তোতা মিয়া, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগীতযোদ্ধা, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত সুরকার-সংগীত পরিচালক সিলেটের কৃতিসন্তান সুজেয় শ্যাম, উদীচী সিলেট এর সভাপতি ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন মানিক, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামের বাসিন্দা, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা জাতীয় পদকপ্রাপ্ত, তাজপুর ডিগ্রি কলেজের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. রণজিত সিংহ, দৈনিক যুগান্তরের সিলেট ব্যুরোর স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ রেনু ও ছড়াকার বশির আহমদ জুয়েলের পিতা হাজী মো. আব্দুল হান্নান এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজার) সাবেক সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ দেবুর পিতা দীপকজ্যোতি পাল শিবু।

শেয়ার করুন