Beanibazarer Alo

  সিলেট     শনিবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে সাংবাদিক খুন, পুলিশের দাবি প্রত্যক্ষদর্শী নেই

admin

প্রকাশ: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ | ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২৫ | ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
বাগেরহাটে সাংবাদিক খুন, পুলিশের দাবি প্রত্যক্ষদর্শী নেই

Manual5 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
বাগেরহাটে শুক্রবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিএনপির স্থানীয় নেতা ও সাংবাদিক এ এস এম হায়াত উদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে পুলিশ বলছে, এ ঘটনার কোনো প্রত্যক্ষদর্শী তারা পাননি।

ওই দিন সন্ধ্যার পর হাড়িখালি এলাকায় একটি চায়ের দোকানে বসে থাকার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত হায়াত উদ্দিনের ওপর হামলা চালায়। স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, হামলাকারীরা তাকে কুপিয়ে হত্যার পর দুটি মোটরসাইকেলে করে পালিয়ে যায়।

Manual2 Ad Code

হায়াত উদ্দিন ছিলেন বাগেরহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য ও একটি পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি। সম্প্রতি পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচন করে পরাজিত হন তিনি। তার বিরুদ্ধে অতীতে মাদক ও চাঁদাবাজির দুটি মামলা ছিল।

বাগেরহাট সদর থানার ওসি মাহামুদ উল হাসান বলেন, ‘ঘটনাস্থলের কেউই কিছু দেখেনি বলে জানাচ্ছে। এখনো আমরা কোনো ক্লু পাইনি, তবে তদন্ত চলছে।’

পুলিশ জানায়, হায়াত উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজির একটি মামলা ও মাদক মামলায় সাজা হয়েছিল। তবে এসব মামলার সঙ্গে হত্যার সম্পর্ক আছে কি না, তা তদন্তের পরই বলা যাবে।

Manual1 Ad Code

স্থানীয় রাজনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ বিভাজনের মধ্যে হায়াত উদ্দিন একাধিক গ্রুপে জড়িয়ে পড়েন এবং ফেসবুকে নানা রাজনৈতিক মন্তব্যে সরব ছিলেন। তার কিছু পোস্টে দলেরই একাংশ ক্ষুব্ধ হয়েছিল বলে স্থানীয়দের ধারণা।

Manual5 Ad Code

অন্যদিকে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘হায়াত উদ্দিন রাজনীতি ছেড়ে সাংবাদিকতায় মনোযোগ দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো সত্য নয়।’

তবে দলের এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে দাবি করেন, জেলার বিএনপির একটি গ্রুপ মাদক ও অস্ত্র সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত, যাদের বিরোধিতায় নামেন হায়াত উদ্দিন।

Manual7 Ad Code

এদিকে খুনের ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ বলছে, হায়াত উদ্দিনের পরিবার পোস্টমর্টেমের পর আইনি পদক্ষেপ নেবে।

স্থানীয়দের ধারণা, হত্যার সঙ্গে জড়িতদের বেশিরভাগই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, যদিও জেলা বিএনপির নেতারা বলছেন, অভিযুক্তরা এখন আর দলের সঙ্গে সম্পর্কিত নন।

শেয়ার করুন