“বিভাগকে স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষনা করা হউক”

Daily Ajker Sylhet

admin

১৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ


“বিভাগকে স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হিসাবে ঘোষনা করা হউক”

এডভোকেট মো: আমান উদ্দিন:
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা দেশ পরিচালিত হয়। দেশ পরিচালনার সুবিধার্থে আইন, বিচার ও শাসন বিভাগ দ্বারা পরিচালিত হয়। স্ব-স্ব বিভাগ তাঁর নিজস্ব চরিত্র হারিয়েছে। মূলতঃ শাসন বিভাগ দ্বারা দেশের জনগন শাসিত হচ্ছে। ন্যায় বিচার থেকে হচ্ছেন বঞ্চিত। বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যা প্রায় ২২ কোটি। জনবহুল রাষ্ট্র হিসাবে বিশ্বের মানচিত্রে উল্লেযোগ্য রাষ্ট্র হিসাবে পরিচিত। ভৌগলিক দিক থেকে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা সহ প্রায় শতাদিক রাষ্ট্রে বাংলাদেশের জনসংখ্যার এক চতুর্থাংশের চেয়ে ও কম। জনসংখ্যার চাপে বিশাল জনগোষ্টির অবকাঠামোগত যতই উন্নয়ন করা হউক না কেন, প্রান্তিক জনগোষ্টিকে কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব নহে।
যেমন: ৪ টি জেলাকে নিয়ে সিলেট বিভাগ গঠিত। লোকসংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। বিশাল জনগোষ্টির মধ্যে প্রায় ১ কোটি লোক প্রবাসে বসবাস করেন। প্রবাসে থেকে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে দেশকে অভিষ্ট উন্নয়নে নিয়ে যাওয়ার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকেন। কিন্তু সেবার মান অত্যন্ত নিম্নমূখী। অধিকাংশ প্রবাসী দেশের উন্নয়নে বিশাল অবদান রাখলে ও সরকার শুধু রেমিট্যান্স যুদ্ধা এবং বিশেষ প্রবাসী সেল গঠনের মধ্যেই সিমাবদ্ধ। প্রসাসী সেলের কার্যক্রম দেখবালের দায়িত্ব আবার সেই আমলার হাতেই। সুতরাং কর্মক্ষেত্রে তাদের মূল্যায়ন শুন্যের কোঠায়। পারিবারিক বা সামাজিক উন্নয়নে পূর্বে যেভাবে সক্রিয় ছিলেন, বর্তমানে হাতে গুনা কিছু মানুষ বাদে দেশ থেকে এসব প্রবাসী বিশেষ করে পশ্চিমা দেশে অবস্থানরত প্রবাসীরা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তাহাদের দাবী যৌক্তিক। সিলেটে প্রাদেশিক বা অন্য বিভাগকে প্রাদেশিক সরকার চালু করে নিজ নিজ এলাকার উন্নয়ন সম্ভব। প্রাদেশিক সরকার উন্নয়ন ও প্রশাসনিক জটিলতা সহজেই নিরসন করতে সক্ষম হবে। প্রাদেশিক সরকার প্রদেশের নিজস্ব আয় ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ইত্যাদি উৎস থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে নিজস্ব বাজেট প্রনয়ন করে অল্প দিনে পশ্চাদমূখী বিদেশে থেকে পর্যাপ্ত টাকা বিনিয়োগ করতে উৎসাহিত হবেন। সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও লাল ফিতার দৌরাতœ্য থেকে অতি সহজেই প্রদেশের সাধারণ জনগন মুক্তি পাবে।
যেমন: কেন্দ্রীয় সরকারের যে কোন প্রশাসনিক কাজের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাথে দেখা করতে হলে, সিলেট থেকে ঢাকায় যেতে অন্তত ১১/১২ ঘন্টা সময় লাগে। একদিকে অর্থের অপচয়, অন্যদিকে কষ্ট করে ঢাকায় গেলেও কাজ হচ্ছে না। আমলাতান্ত্রিক ও লাল ফিতার দৗরাতেœ্যর কারণে। যোগাযোগ প্রযুক্তি যেখানে একটি উবারপব থেকে সমগ্র বিশ্বের সাথে অতি অল্প সময়ে যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব। সড়ক, রেলপথ ও নৌপথ সেই এনালগ আমলের। অতএব সাধারণ জনগনের চাহিদার আলোকে প্রাদেশিক সরকারকে প্রয়োজনীয় ক্ষমতা ও লোকবল দিয়ে সংসদে আইন প্রনয়ন করে প্রাদেশিক সরকার বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবী।
লেখক, সভাপতি- সু-শাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) বিয়ানীবাজার, সিলেট।

Sharing is caring!