Beanibazarer Alo

  সিলেট     মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

ভারতের মানবপাচারকারী চক্রকে ধরিয়ে দিলেন বাংলাদেশি তরুণী

admin

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | ১২:০০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০২৩ | ১২:০০ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
ভারতের মানবপাচারকারী চক্রকে ধরিয়ে দিলেন বাংলাদেশি তরুণী

Manual4 Ad Code

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের একটি মানবপাচারকারী চক্রকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিয়েছেন বাংলাদেশের এক তরুণী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০ বছর বয়সী ওই তরুণীকে চট্টগ্রাম থেকে নয়া দিল্লিতে পাচার করা হয়েছিল। বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে তিনি নিজেকে চক্রের হাত থেকে মুক্ত করেন।

আদালতের নির্দেশে মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত ওই চক্রের দুই সদস্যকে গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) আটক করে হরিয়ানা পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে রাজ্য পুলিশের একটি দল পশ্চিমবঙ্গে আসবে বলে জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া।

Manual8 Ad Code

ওই চক্রটি বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া, কলকাতা এবং নয়া দিল্লিতে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করত।

Manual7 Ad Code

উদ্ধার হওয়ার পর বাংলাদেশি তরুণী হরিয়ানার বল্লবগড়ের এক তরুণকে বিয়ে করেন। যিনি এক সময় তার খদ্দের ছিলেন।

Manual5 Ad Code

পালানোর পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ওই তরুণী তার সাবেক খদ্দের ও বর্তমান স্বামীর সঙ্গে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তের বদরপুরে দেখা করার নাটক সাজান। এরপর সেখান থেকে তারা পালিয়ে যান।

পরবর্তীতে যখন চক্রের সন্ধান ফাঁস হয়ে যায় তখন ওই দম্পতি পালওয়াল আদালতের সাহায্য কামনা করেন। আদালত তখন পুলিশকে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন। বর্তমানে শক্তিবাহিনী নামের একটি এনজিও তাদের মামলা লড়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করছে।

চক্রের বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইএর থেকে জানা গেছে, চট্টগ্রামের ওই তরুণীকে ভারতের নয়া দিল্লিতে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখান নার্গিস নামের এক নারী। যিনি তার প্রতিবেশী ছিলেন। কোনো কিছু বুঝতে না পেরে ওই তরুণী নার্গিসের ফাঁদে পা দেন।

প্রথমে চট্টগ্রাম থেকে ওই তরুণীকে গত ২৮ জানুয়ারি যশোরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে অবৈধভাবে ভারতে নিয়ে যান নার্গিসের মা আম্মো এবং রাজু নামের এক ব্যক্তি। ভারতে যাওয়ার পর তাকে একটি ভুয়া আইডি ও সিম কার্ড দেওয়া হয়। পরে জগনু নামের এক ব্যক্তি তাকে ট্রেনে কলকাতা নিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে নয়া দিল্লির আলী গাঁওয়ে নেওয়া হয়। ওই আলী গাঁওয়ে তাকে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করেন লতা নামের এক নারী ও তার স্বামী আসগর। তারা সেখানে ওই তরুণীকে জিম্মি করে ১ লাখ ২০ হাজার রুপি দাবি করেন।

 

Manual1 Ad Code

শেয়ার করুন