নিউজ ডেস্ক :
মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে ১৩টি সন্দেহজনক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও পতিতালয়ে ইমিগ্রেশনের অভিযানে বাংলাদেশিসহ ১৩৯ প্রবাসীকে আটক করা হয়েছে।
ইমিগ্রেশন বিভাগের এনফোর্সমেন্ট ডিভিশনের পরিচালক বাসরি ওথমান জানান, রোববার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে শুরু হওয়া এ অভিযান চলে রাজধানীর বিদেশি উপস্থিতি বেশি এমন এলাকায়, জালান পেতালিং, জালান ইমবি ও জালান পুডুতে।
অভিযানে মোট ২০৫ জনকে যাচাই-বাছাই করা হয় এবং এর মধ্যে ১৩৯ জনকে আটক করা হয়, যাদের মধ্যে ১১২ জন নারী।
সোমবার বুলেটিন তিগার প্রতিবেদনে বলা হয়, আটকদের বয়স ২০ থেকে ৬৫ বছরের মধ্যে। তারা ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার নাগরিক বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে আটকদের মধ্যে কতজন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন তা জানা যায়নি।
এছাড়া স্থানীয় ২০ জন পুরুষকেও আটক করা হয়। তাদের সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলোর ‘ক্যাপ্টেন’ বা তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে।
বাসরি আরও জানান, এসব স্থাপনায় যৌনসেবা দেওয়া হতো মাত্র ৬০ রিংগিত থেকে শুরু করে। সংশ্লিষ্ট নারীরা শুধু কর্মস্থানেই যাতায়াত করতেন, তবে তাদের থাকার স্থান ছিল আলাদা।
তদন্তে আরও জানা গেছে, কেন্দ্রগুলো দিনে ২৪ ঘণ্টা, দুই শিফটে পরিচালিত হতো। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত প্রথম শিফট এবং পরবর্তী শিফট শুরু হতো সন্ধ্যা ৬টায়, যা চলত পরদিন সকাল পর্যন্ত। গ্রাহকদের কোনো পূর্ব বুকিং ছাড়াই সেখানে আসার সুযোগ ছিল।
এছাড়া অভিযানে দেখা গেছে, একাধিক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনুমতি ছাড়া ভবনের ভেতর বিভাজন দেয়াল নির্মাণ করে স্থাপনার কাঠামো পরিবর্তন করেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট সিটি কাউন্সিলের কাছে জানানো হবে বলে ইমিগ্রেশন বিভাগ জানায়।
অভিযানের সময় জালান পেতালিংএ চারজন নারীসহ বিদেশি যাত্রী বহনকারী একটি গাড়ি পালানোর চেষ্টা করলে সেটি আটকে দেওয়া হয়। গাড়িতে থাকা এক বাংলাদেশিসহ চার নারীকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিদের পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ার জন্য কেএলআইএ, বারণাং ও সেমোনিয়া ইমিগ্রেশন ডিপোতে নেওয়া হয়েছে।