যমজ তিন মেয়েসহ চার সন্তানকে নিয়ে কষ্টে থাকা আরিফুলের পাশে দাঁড়ালেন প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ
১৫ মার্চ ২০২৩, ০৮:০৮ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
যমজ তিন মেয়েসহ চার সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার আরিফুল ইসলাম।বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ দেখে আরিফুলের পাশে দাঁড়িয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ।
বুধবার দুপুরে প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর সহকারীএকান্ত সচিব মো. রাকিবুল ইসলাম আরিফুলের বাড়িতে গিয়ে টাকা ও খাদ্যসামগ্রী দিয়ে এসেছেন। ভবিষ্যতেও এই পরিবারের যেকোনো প্রয়োজনে প্রতিমন্ত্রী পাশে থাকবেন বলে জানিয়েছেন রাকিবুল ইসলাম।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন পত্রিকায় ‘যমজ তিন মেয়েসহ চার সন্তানকে নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম আরিফুলের’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি নজরে আসার পর প্রতিমন্ত্রী ওই পরিবারকে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেন।
মো. রাকিবুল ইসলাম বলেন, সিংড়ার একটি পরিবার সন্তানদের ভরণপোষণ নিয়ে কষ্টে আছে জানতে পেরে প্রতিমন্ত্রী তাঁকে সহযোগিতার সিদ্ধান্ত নেন। গতকাল রাতেই আরিফুলের বাড়িতে ৬০ কেজি চাল পাঠানো হয়। এ ছাড়া আজ দুপুরে আরিফুলের স্ত্রী সুমি আক্তারের হাতে পাঁচ হাজার টাকা হস্তান্তর করা হয়। সন্তানদের লালন-পালনে ভবিষ্যতেও প্রতিমন্ত্রী ওই পরিবারকে সহযোগিতা করবেন।
প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে আরিফুল ইসলামের বাড়িতে টাকা ও খাদ্যসামগ্রী হস্তান্তরের সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ডের সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলর জয়তুন বেগম, সিংড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোল্লা মো. এমরান আলী, সাধারণ সম্পাদক সৌরভ সোহরাব প্রমুখ। এর আগে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অসহায় ওই পরিবারকে দুই বস্তা চাল ও শুকনা খাবার দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদা খাতুন।
দিনমজুর আরিফুল ইসলামের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলা সদরের পৌরপাড়া এলাকায়। ছয় বছর আগে সুমিকে বিয়ে করেন আরিফুল। বিয়ের বছরখানেক পর তাঁদের সংসারে প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। এরপর গত নভেম্বরে তাঁদের সংসারে নতুন অতিথি হয়ে আসে তিন যমজ মেয়ে পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা। আরিফুল ইসলাম কখনো কৃষিশ্রমিকের কাজ করেন আবার কখনো রাজমিস্ত্রির জোগালির কাজ করেন। বসতভিটা ছাড়া কোনো জমিও নেই তাঁর। অল্প আয় দিয়ে পাঁচ বছরের এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে সংসার চালাতে এত দিন হিমশিম খাচ্ছিলেন আরিফুল। এর মধ্যে তিন সন্তান জন্মের খবরে আরিফুলের বাড়িতে খুশির বন্যা বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন নবজাতকদের খাবার আর চিকিৎসা নিয়ে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন।