Beanibazarer Alo

  সিলেট     সোমবার, ৮ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৩শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

‘রিজার্ভ নিয়ে আমাদের জানার বাইরে কিছু একটা ঘটছে’

admin

প্রকাশ: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ০৬:৫৭ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০২৩ | ০৬:৫৭ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
‘রিজার্ভ নিয়ে আমাদের জানার বাইরে কিছু একটা ঘটছে’

Manual4 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
রিজার্ভ নিয়ে আমাদের জানার বাইরে কিছু একটা ঘটছে বলে মন্তব্য করেছেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, দেশে কত বিদেশি মুদ্রা ঢুকছে এবং কত মুদ্রা বেরিয়ে যাচ্ছে, তার হিসাব রিজার্ভ দিয়ে মিলছে না। সম্প্রতি এই হিসাব বেশ কিছুদিন ধরে ঋণাত্মক। এর অর্থ হলো, আমাদের জানার বাইরে কিছু একটা ঘটছে।

বুধবার (৪ অক্টোবর) ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরামের (আইবিএফবি) বার্ষিক সম্মেলনে এ তথ্য দেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।

Manual4 Ad Code

জাহিদ হোসেন বলেন, দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে। লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি হওয়ায় রিজার্ভ হ্রাস পাচ্ছে। বিশ্ববাজারে তেলের দাম এবং ডলারের বিনিময় হার বেড়ে যাওয়ার কারণে দেশের লেনদেন ভারসাম্যে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। সে কারণে অর্থনীতিতে বড় প্রভাব পড়ছে। এতে যেমন বাংলাদেশি মুদ্রার বিনিময় হার কমছে, তেমনি রিজার্ভ কমে যাচ্ছে।

Manual2 Ad Code

দেশের সামগ্রিক সামষ্টিক অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার বড় কারণ ডলারের দাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইউএস ডলার ইনডেক্সের মান ২০২১ সালেও ১০০-এর নিচে ছিল। কিন্তু ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তা ১০০-এর ওপরে চলে যায়। এখন কিছুটা কমলেও এখনো তা ১০০-এর ওপরে রয়েছে। এসব কারণে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম ৬-এর সংজ্ঞা অনুসারে বাংলাদেশের নিট আন্তর্জাতিক রিজার্ভ এখন ১৮ বিলিয়ন ডলারের নিচে।

এ অর্থনীতিবিদ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতার পেছনে বৈশ্বিক কারণের সঙ্গে দেশীয় কারণও রয়েছে। সেটা হলো সরকারের নীতি পরিবর্তন। বাজারে বিদেশি মুদ্রা চাহিবামাত্র পাওয়া না গেলে মুদ্রার প্রতিযোগিতামূলক, বাজারভিত্তিক, নমনীয় ও একক বিনিময় হার নির্ধারণ করেও লাভ হবে না

Manual4 Ad Code

তিনি বলেন, সরকারের অগতানুগতিক নীতির কারণে গত দুই বছরে প্রতি মাসে ১ বিলিয়ন ডলার করে রিজার্ভ কমেছে। ২০২২ সাল থেকে দেশে রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়ের প্রবাহও কমছে। ২০২২ সালে যেখানে মাসে ২০০ কোটি ডলার আসত, সেখানে ২০২৩ সালের প্রথম ৩ ত্রৈমাসিকে দেশে প্রতি মাসে গড়ে ১৫০ থেকে ১৬০ কোটি ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতির সমালোচনা করেন জাহিদ হোসেন বলেন, এটি একদিক থেকে সংকোচনমূলক, আরেক দিক থেকে সম্প্রসারণমূলক। এটা কোনোভাবে ব্যাখ্যা করা যায় না। আবার বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ কমলেও সরকারের ঋণ বাড়ছে।

Manual3 Ad Code

সেই সঙ্গে তেলের বাড়তি দামের বিষয়টিও উল্লেখ করেন বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক এই মুখ্য অর্থনীতিবিদ। এ কারণেও দেশের সামষ্টিক অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আইবিএফবির সভাপতি ও এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন রশীদ। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা।

শেয়ার করুন