লন্ডনে অস্থায়ী আবাসনে থাকা অভিবাসীদের মৃত্যু হলে খবর পান না স্বজন!

Daily Ajker Sylhet

admin

২০ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৭ পূর্বাহ্ণ


লন্ডনে অস্থায়ী আবাসনে থাকা অভিবাসীদের মৃত্যু হলে খবর পান না স্বজন!

প্রবাস ডেস্ক:
যুক্তরাজ্যে আগের চাইতে অনেকে বেড়েছে অভিবাসীদের প্রবেশ। এসব অভিবাসীর বেশিরভাগ অবৈধভাবে দেশটিতে যাচ্ছেন। এই অভিবাসীদের হোম অফিস কর্তৃক বিভিন্ন অস্থায়ী আবাসনে রাখা হচ্ছে।

তবে এরই মধ্যে একটি মর্মান্তিক তথ্য জানা গেছে। সেটি হচ্ছে- অস্থায়ী আবাসনে কোনো অভিবাসী মারা গেলে সেই অভিবাসীর পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয় না। এমনকি মৃত্যুর মতো এমন গুরুত্বপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর বিষয়গুলো জনসম্মুখেও প্রকাশ করা হয় না।

বিষয়টি স্বীকারও করেছেন ব্রিটিশ হোম অফিসের কর্মকর্তারা। তাদের দাবি, মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানালে তারা মানসিক ট্রমায় ভুগতে পারে তাই জানানো হয় না। কিন্তু অনেক পরিবার তাদের প্রিয়জনকে হারানোর পর তথ্য না পেয়ে মানসিকভাবে আরও বেশি ভেঙে পড়ছে।

এই তথ্যগুলো এমন এক সময় প্রকাশ পেল যখন ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন কারণে অ্যাসাইলামে থাকা ১৭৬ জন মানুষ মারা গেছেন। এর মধ্যে আত্মহত্যার সংখ্যা দ্বিগুণ। এই সময়ে কমপক্ষে ২৩ জন মানুষ সুইসাইড করেছেন।

এ বিষয়ে এনজিও সংস্থাগুলো সম্প্রতি সতর্ক করে জানিয়েছে- হোম অফিসের বিভিন্ন পলিসির কারণে অভিবাসীদের মধ্যে সুইসাইড করার প্রবণতা বাড়ছে। এর একটি কারণ হচ্ছে- অল্প জায়গায় অধিক হারে অভিবাসী রাখা। যেমন এসেক্সের ওয়েদারস ফিল্ড এবং পোর্টল্যান্ড ডরসেটের বিবি স্টকহোম বার্জে অল্প জায়গার মধ্যে অসংখ্য অভিবাসীকে রাখা হয়েছে।

ইউরোপে শরনার্থীদের নিয়ে কাজ করা নিউজ ব্লগ সিভিল ফ্লিট ফ্রিডম অফ ইনফরমেশনের ভিত্তিতে অভিবাসীদের মৃত্যুর এই বিষয়টি হোম অফিসের কাছ থেকে পেয়েছে।

এদিকে হোম অফিস আরও জানিয়েছে- গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে বিভিন্ন এসাইলাম সেন্টারে থাকা পাঁচজন মারা গেছে। যার মধ্যে একজন আত্মহত্যা করেছে।

সিভিল ফিট বিষয়টি নিয়ে আইসিও-র কাছে আবেদন করে। এতে আইসিও রায় দেয় যে হোম অফিসকে অবশ্যই ৪ এপ্রিলের মধ্যে অভিবাসীদের মৃত্যু জনিত ডিটেইল তথ্য প্রকাশ করতে হবে। ডিটেইল প্রকাশ না করলে আদালত অবমাননা করা হবে। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে হোম অফিসের আপিল করার সুযোগ রয়েছে।

চ্যারিটি সংস্থা ইনকুয়েস্টের পরিচালক ডেবোরা কোলস বলেন- যুক্তরাজ্যের অন্য যেকোনো পাবলিক সংস্থার চাইতে হোম অফিস সবচেয়ে বেশি তথ্য গোপন করে। তারা তাদের কেয়ার সিস্টেমে অবহেলা করার পাশাপাশি মারা যাওয়া ব্যক্তিদের পরিবারকে পর্যন্ত যথাযথ তথ্য দেয় না। এটা আইনি এবং নৈতিক দায়িত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

Sharing is caring!