Beanibazarer Alo

  সিলেট     মঙ্গলবার, ১৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ১লা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শাবান মাসে যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রিয়নবী সা.

admin

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ১১:২৮ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
শাবান মাসে যেভাবে রমজানের প্রস্তুতি নিয়েছেন প্রিয়নবী সা.

Manual1 Ad Code

ধর্ম ডেস্ক:
রমজান আগমনের আগেই রমজানের প্রস্তুতির মাস রজব ও শাবান। রজব মাস থেকে রমজানের বরকত লাভের দোয়া পড়া শুরু করতেন প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। শাবানেও একই দোয়া বেশি বেশি পড়তেন এবং সাহাবিদের পড়তে উৎসাহিত করতেন। শাবান মাসে বরকত লাভের দোয়া পড়ার পাশাপাশি রমজানের প্রস্তুতি উপলক্ষে বেশি বেশি রোজা রাখতেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।

শাবানে প্রিয়নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বেশি পরিমানে নফল রোজা রাখার বিষয়ে এক হাদিসে হজরত উসামা বিন জায়েদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস করেছি, হে আল্লাহর রাসূল, শাবান মাসে আপনি যেভাবে রোজা রাখেন, সেভাবে অন্য কোনো মাসে রোজা রাখতে আমি আপনাকে দেখিনি।

Manual8 Ad Code

রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, রমজান ও রজবের মধ্যবর্তী এ মাসের ব্যাপারে মানুষ উদাসীন থাকে। এটা এমন মাস, যে মাসে বান্দার আমল আল্লাহর কাছে পেশ করা হয়। আমি চাই, আল্লাহর কাছে আমার আমল এমন অবস্থায় পেশ করা হোক, যখন আমি রোজাদার। ’ (নাসাঈ, হাদিস, ২১৭৯)

শাবান মাসজুড়ে রোজা রাখা ফজিলতপূর্ণ। হাদিসে বহু ধরনের সওয়াবের কথা বর্ণিত হয়েছে। এছাড়া ‘আইয়ামে বিজ’র রোজাও গুরুত্বপূর্ণ। (প্রতি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজাকে আইয়ামে বিজ’র রোজা বলে। এই রোজার রাখার ব্যাপারে হাদিসে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।)

Manual4 Ad Code

পাশাপাশি দুর্বল সূত্রে বর্ণিত একটি হাদিসে ১৫ তারিখে বিশেষভাবে রোজা রাখার কথা পাওয়া যায়। আলী (রা.) থেকে বর্ণিত সেই হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘১৫ শাবানের রাত (১৪ তারিখ দিবাগত রাত) যখন আসে, তখন তোমরা তা ইবাদত-বন্দেগিতে কাটাও এবং পরদিন রোজা রাখো।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস : ১৩৮৪)

এ মাসে অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ একটি রাত রয়েছে। কোরআনের ভাষায় এটাকে লাইলাতুম মুবারকা বলে। আমাদের দেশীয় পরিভাষায় ‘শবে বরাত’ বলা হয়ে থাকে। বিভিন্ন হাদিসে এ রাতের ফজিলতের আলোচনা এসেছে।

মুয়াজ ইবনে জাবাল রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত এক হাদিসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন—

আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে (শাবানের চৌদ্দ তারিখ দিবাগত রাতে) সৃষ্টির দিকে (রহমতের) দৃষ্টি দেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সবাইকে ক্ষমা করে দেন। (সহিহ ইবনে হিব্বান, হাদিস, ৫৬৬৫)

এ মাসে বেশি বেশি বরকত হাসিলের দোয়া করতেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। এ দোয়ার মাধ্যমে রমজান মাসে ইবাদত করার সুযোগ ভিক্ষা চাইতেন। দোয়াটি হলো

আরবি : اللَّهُمَّ بَارِكْ لَنَا فِي رَجَبٍ، وَشَعْبَانَ، وَبَلِّغْنَا رَمَضَانَ

Manual3 Ad Code

উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা বারিক লানা ফি রজবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান

অর্থ : হে আল্লাহ! রজব মাস ও শাবান মাস আমাদের জন্য বরকতময় করুন; রমজান আমাদের নসিব করুন। (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস, ২৫৯)

Manual4 Ad Code

শাবান মাসে রোজা রাখার ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হলো- রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে এই মাসে যে বেশি বেশি রোজা রাখার কথা বলা হয়েছে তা নফল রোজা। ফরজ বা ওয়াজিব রোজার সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই । কোনো ব্যক্তি যদি অসুবিধা কিংবা প্রয়োজনবশত শাবান মাসের রোজা রাখতে না পারে তাহলে শাবান মাসের রোজা পরবর্তী সময়ে পালন করা ফরজ কিংবা ওয়াজিব নয়।

শেয়ার করুন