শিগগিরই দুটি মাইলফলক ছুঁতে পারেন মেসি!

Daily Ajker Sylhet

admin

২৩ মার্চ ২০২৩, ০১:৩৫ অপরাহ্ণ


শিগগিরই দুটি মাইলফলক ছুঁতে পারেন মেসি!

স্পোর্টস ডেস্ক:
কাতারে সোনালি ট্রফির স্বপ্নপূরণ করে সাদা-আকাশি ভক্তদের আনন্দের জোয়ারে ভাসিয়েছেন লিওনেল মেসিরা। বহু আরাধ্য সেই বিশ্বকাপ জয়ের পর আর্জেন্টিনার জার্সিতে তাদের আর মাঠে নামা হয়নি। তাই প্রীতি ম্যাচের তারিখ ঘোষণা হতেই তুমুল উৎসাহ নিয়ে ক্ষণ গণনা শুরু করেন ভক্তরা। বিশ্বকাপে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া মেসির সামনে রয়েছে দুটি মাইলফলক ছোঁয়ার হাতছানি রয়েছে। যা আর্জেন্টিনা কিংবা অন্য অনেক দেশের খেলোয়াড়ের জন্য স্বপ্নের মতো!

আগামীকাল (২৪ মার্চ) ভোরে দেশের মাটিতে প্রীতি ম্যাচ খেলতে নামবেন মেসিরা। সেখানে তারা আতিথ্য দেবেন পানামাকে। সেই ম্যাচ নিয়ে মানুষের উদ্দীপনা কেমন তা একটি দৃশ্য থেকেই টের পাওয়া যায়। কেননা সেই ম্যাচের টিকিট কিনতে আগ্রহী ১৫ লাখেরও বেশি মানুষ। এমনকি ১ লাখ ৩১ হাজার সাংবাদিক ম্যাচটি কভার করার জন্য অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড চেয়েছেন। অথচ বুয়েন্স আয়ার্সের সেই মনুমেন্টাল স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা আছে মাত্র ৮৩ হাজার।

বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক তার ফুটবল ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত ৭৯৯টি গোল করেছেন। ফলে আর একটি গোল করলেই তিনি পৌছে যাবেন ৮০০তম গোলের চূড়ায়। এছাড়া মেসির সুযোগ রয়েছে আরও একটি কীর্তি গড়ার। তিনি এখন পর্যন্ত দেশের হয়ে ৯৮টি গোল করেছেন। ফলে আসন্ন দুুটি প্রীতি ম্যাচে সেটি ছাড়িয়ে ১০০ গোল করার নজির গড়তে পারেন তিনি। এর আগে মেসি ২০১৬ সালে স্বদেশী গ্যাব্রিয়েল বাতিস্তুতার সর্বোচ্চ ৫৫ গোলের রেকর্ড ছাড়িয়ে যান। একইসঙ্গে কাতার বিশ্বকাপের মাধ্যমে বাতিস্তুতার বিশ্বমঞ্চের রেকর্ড গোলও পার করে ফেলেন তিনি।

এদিকে, দুটি প্রীতি ম্যাচে অংশ নিতে কয়েকদিন আগেই মেসি দেশে পৌঁছে যান। সেখানে গিয়েই তিনি মধুর সব বিড়ম্বনা পার করছেন। প্রথমে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে ভক্তদের দেখা দেওয়ার আবদার মেটান, আবার কখনোবা মহাসড়কের মাঝপথেই গাড়ির জানালা নামিয়ে ‘হ্যালো’ জানাচ্ছেন তিনি। তবুও ভ্ক্তদের প্রত্যাশা- সবার সব আবদার মেসি মাঠেই মেটানোর তৃষ্ণা নিয়ে নামবেন।

পানামার পর ২৮ মার্চ কিরাসাওয়ের বিপক্ষে আরেকটি ম্যাচ খেলবে আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচটির ভেন্যু সান্তিয়াগো দেল এসতেরোর ইউনিকো মাদ্রে দি সিউদাদেস স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা আছে কেবল ৩০ হাজার। যাইহোক, সেই ম্যাচেও হয়তো একই উদ্দীপনা নিয়েই মাঠে হাজির হতে চাইবেন দর্শকরা।

 

Sharing is caring!