Beanibazarer Alo

  সিলেট     শনিবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

শেখ হাসিনার বিচারের রায় ঘোষণার তারিখ জানা যাবে আজ

admin

প্রকাশ: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ | ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ | আপডেট: ১৩ নভেম্বর ২০২৫ | ১০:৫২ পূর্বাহ্ণ

ফলো করুন-
শেখ হাসিনার বিচারের রায় ঘোষণার তারিখ জানা যাবে আজ

Manual7 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
জুলাই গণআন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিচারের রায় ঘোষণার দিন ধার্য হবে আজ বৃহস্পতিবার। বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১ দিন ধার্যের আদেশ দেবেন। এদিকে রায়ের দিন ধার্যকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের আশপাশে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও বিজিবি; রয়েছে আর্মড পুলিশের সদস্যরাও।

Manual8 Ad Code

গত ২৩ অক্টোবর প্রসিকিউশন ও আসামি পক্ষের কৌসুলিদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। এরপর মামলার রায় কবে ঘোষণা করা হবে সেই দিন ধার্যের জন্য ১৩ নভেম্বর রাখা হয়। এই মামলায় শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে ট্রাইব্যুনালে আবেদন জানিয়েছেন প্রসিকিউশন। অন্যদিকে, তাদের খালাস দিতে আর্জি জানান রাষ্ট্রনিযুক্ত কৌসুলি। তবে অপর আসামি মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের শাস্তির বিষয়ে কোনো আবেদন জানায়নি প্রসিকিউশন।

Manual3 Ad Code

এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. মিজানুল ইসলাম বলেন, ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস) অ্যাক্ট সংশোধন করে আওয়ামী লীগ ২০১০ সালে এই ট্রাইব্যুনাল স্থাপন করেছিল। যদিও আইনটা ’৭৩ সালে প্রণীত। তাদের তৈরি করা আইন এবং অনুপস্থিতিতে কীভাবে বিচার চলবে সেই প্রক্রিয়াটা উনারাই তৈরি করেছে। সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এক্ষেত্রে অনিয়ম কি হচ্ছে সেটা যদি ধরাতে হয় তাহলে আসামিকে ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত হতে হবে। উপস্থিত হয়ে আবেদন করে বলতে হবে যে এখানে এই অনিয়ম হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘শুধু স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী ছাড়া পলাতক আসামিদের পক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তির কোনো কথা বলার সুযোগ নেই। আর শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে স্টেট ডিফেন্স নিযুক্ত করা হয়েছিল আমির হোসেনকে। আমি যতটুকু জানি তিনি শেখ হাসিনার আমলের কোনো একটা কোর্টের স্পেশাল পিপির দায়িত্বে ছিলেন। অর্থাৎ তিনি তারই লোক ছিলেন। কাজেই এখানে ভিন্ন কোনো সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার কারণ নেই।’

Manual4 Ad Code

প্রসিকিউটর মিজানুল বলেন, ‘স্টেট ডিফেন্সের কোনো অযোগ্যতা নেই। এরপরও যদি আইনজীবীর ব্যাপারে কোনো প্রশ্ন উত্থাপিত হয়, তাহলে যিনি প্রশ্ন উত্থাপন করবেন তাকে এ মামলার লোকাল স্ট্যান্ডে থাকতে হবে। অর্থাৎ এ মামলায় কথা বলার অধিকার থাকতে হবে। পলাতক আসামিদেরও ট্রাইব্যুনালে আসতে হবে। আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে। অথবা আইনজীবী নিয়োগ ছাড়া নিজেরাই বক্তব্য দেওয়ার অধিকার রাখেন তারা। তাই তারা হাজির হোক। হাজির হয়ে কথা বলুক।’

শেয়ার করুন