Beanibazarer Alo

  সিলেট     শনিবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সিলেটে অমিত ‘হত্যা কাণ্ডে’ অংশ নিয়েছিলো ‘রহস্যময় নারী’!

admin

প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ | আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০২৪ | ১২:৪০ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
সিলেটে অমিত ‘হত্যা কাণ্ডে’ অংশ নিয়েছিলো ‘রহস্যময় নারী’!

Manual1 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেটের স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক উত্তরপূর্ব’র কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবুর (৩৬) ‘হত্যা’র ঘটনায় ফয়সল আহমদ (৩২) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে শাহী ঈদগাহ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Manual5 Ad Code

ফয়সল সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারীবাগের ৪৮ নং বাসার মৃত আব্দুল মুকিতের ছেলে।

রবিবার (২৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিষয়টি জানিয়েছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।

শুক্রবার দিবাগত (২৫ এপ্রিল) রাত আড়াইটার দিকে সিলেট মহানগরের এয়ারপোর্ট থানাধীন শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ দলদলি চা-বাগানসংলগ্ন মাঠ থেকে অমিত দাস শিবুর লাশ স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে মহানগরের চালিবন্দর মহাশশ্মানে তাঁর মরদেহ দাহ করা হয়।

Manual5 Ad Code

অমিত সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলার এলেংজুড়ি গ্রামের মৃত গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। তিনি দুই সন্তানের জনক। সপরিবারে নগরের কানিশাইল এলাকায় বসবাস করছিলেন।

Manual1 Ad Code

ঘটনার পরদিন শনিবার দুপুরে অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস বাদী হয়ে সিলেট এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই দিন রাতেই অভিযান চালিয়ে ফয়সল আহমদকে গ্রেফতার করে এয়ারপোর্ট থানাপুলিশ।

এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক তদন্ত ও গ্রেফতারকৃত ফয়সল আহমদের কাছ থেকে জানা গেছে- তার সহযোগী আরো কয়েকজন ঘটনার রাত আনুমানিক সাড়ে ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে অমিতের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি, লাথি মারে এবং আসামিদের একজন অমিতের ব্যবহৃত হেলমেট দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করে। মারপিটের এক পর্যায়ে অমিত অচেতন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আসামিরা তার মৃত্যু নিশ্চিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এদিকে, পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে- তদন্তে জানা গেছে, অমিত হত্যাকাণ্ডে ৮ জন হত্যাকারী অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে একজন রহস্যময় নারীও ছিলো। তবে কী কারণে হত্যা করা হয়েছে সে রহস্য এখনও উদঘাটন করা যায়নি। গ্রেফতারকৃত ফয়সল পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করছে না। ফলে গ্রেফতারের পর ফয়সলকে আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। সে আবেদনের শুনানি সোমবার (৩০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত হবে। তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করা হবে। এছাড়া এ ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত ফয়সল একজন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অনেক ৪টি মামলা রয়েছে সিলেট কোতোয়ালি এবং এয়ারপোর্ট থানায়।

Manual1 Ad Code

শেয়ার করুন