স্টাফ রিপোর্টার:
সারাদেশের মতো সিলেটেও চলছে অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ-২। সম্প্রতি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পরপরই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে জোরদার অভিযান।
চলছে সিলেটেও। তবে ডেভিল হান্ট ফেজ-২ এর আওতায় ১২জনকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেলেও কোনো অস্ত্র উদ্ধারের খবর পাওয়া যায়নি।
সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জেও অপারেশন জোরদারের খবর পাওয়া গেছে।
এ অভিযানের আওতায় সোমবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত সিলেট জেলা ও মহানগর এলাকা থেকে মোট ১২জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের খবর পাওয়া গেছে।বিশেষ এ অবিযানের আওতয়া ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে অভিযান চালিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ রাসেল আহমদ ও পশ্চিম ইসলামপুর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের ২০২৪ সালে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-আন্দোলন সংক্রান্ত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে শনি ও রবিবার নরগীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ৬জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৫নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন কায়স্তরাইলের কনকর্ড আবাসিক এলাকার ৮নং সড়কের ৯২নং বাসার মৃত ইসহাক মিয়া ও নুরজাহান বেগমের ছেলে আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য তায়েফ আহমদ (৩৬), সুনামগঞ্জের দিরাই থানাধীন ভাটিপাড়া গ্রামের মৃত বিটু মিয়ার ছেলে বর্তমানে এয়ারপোর্ট থানাধীন হাউজিং এস্টেটের ৪নং লেনের ২১নং বাসার মো. ফেরদৌস রহমান (২৩), জালালাবাদ থানার সোনাতলা গ্রামের খুরশিদ আলীর ছেলে স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তানজির আলী (৩৫), মোগলাবাজার থানার জাহানপুরের মৃত সাজিদ আলী ও মৃত আলফাতুন নেছার ছেলে, মোগলাবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ সভাপতি আবিদুর রহমান আবিল (৪৬), সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহপরান থানার সাদিপুর নোয়াগাঁওয়ের মৃত আনছার আলীর ছেলে মুমিনুল ইসলাম মুমিন (৩৫) ও শাহপরাণ থানার মেন্দিবাগ এলাকার মৃত তাজ উদ্দিনের ছেলে ও মহানগর যুবলীগের সক্রিয় সদস্য তুহেল আহমদ (৩৩)।
তারা সবাই বিস্ফোরক উপাদানাবলী, সন্ত্রাস বিরোধী আইন ও পেনাল কোড মামলার সন্ধিগ্ধ আসামী বলে জানিয়েছেন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মো. সাইফুল ইসলাম।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোর ৩টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কোম্পানীগঞ্জের পাড়–য়া বদিকোনা থেকে দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন পাড়ুয়া বদিকোনার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের সদস্য জামাল মিয়া (৩৯) ও একই এলাকার মৃত শাহ আলমের ছেলে রাসেল মিয়া (৪০)।
তাদের দু’জনকে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর দ্রæত বিচার আইনে দায়েরকৃত একটি মামলা (নং-০৫) গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) শফিকুল ইসলাম খান বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) ভোরে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছয়েফ খানকে পাঠানপাড়ার নিজ বাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করে মোগলাবাজার থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় শাহপরাণ (রহ.) থানায় ১টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
একই দিনে ভোর সাড়ে ৫টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার খাদিমনগর বিসিক শিল্প এলাকা থেকে শাহপরাণ (রহ.) থানা পুলিশ যুবগরীগ কর্মী নুরুল ইসলাম সোহগকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারগারে পাঠানো হয়েছে।
দুই দিনে গ্রেপ্তার ১২ জন। এতেই স্পষ্ট পুলিশ ‘ডেভিল হান্ট’ নিয়ে এখন রীতিমতো মহাব্যস্ত। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে নাশকতার আশঙ্কায় এ অভিযান সময়ে সময়ে আরো জোরদার করা হবে বলেই ধরনা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
সহ সম্পাদকঃ মোঃ সুমন আহমদ
সার্বিক ব্যবস্থাপকঃ মোঃ আলী হোসেন
স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃ আবুল হাসান আহমদ,
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার
সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার, মেইন রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: beanibazareralo@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।