Beanibazarer Alo

  সিলেট     শনিবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সুনামগঞ্জ-২: বিভক্ত আওয়ামী লীগ, হার-জিতে ফ্যাক্টর বিএনপি !

admin

প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৩:০২ অপরাহ্ণ | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৪ | ০৩:০২ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
সুনামগঞ্জ-২: বিভক্ত আওয়ামী লীগ, হার-জিতে ফ্যাক্টর বিএনপি !

Manual3 Ad Code

দিরাই প্রতিনিধি:
জেলার পাঁচটি আসনের মধ্যে সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিপূর্ণ হবে বলে এলাকার ভোটাররা মনে করছেন। প্রতিদ্বন্দ্বি দুই প্রার্থীর সভা, মিছিলে অসংখ্য মানুষ অংশগ্রহণ করছেন।

Manual2 Ad Code

এ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি নাছির উদ্দিন চৌধুরীর বেশ ভোটার রয়েছেন। বিএনপি সমর্থিত এসব ভোটাররা জয়—পরাজয়ের ফ্যাক্টর হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

নির্বাচনে সকলের দৃষ্টি আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরী) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তার (কাঁচি) দিকে। এ আসনে অন্য প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা হলেন- ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব মিজানুর রহমান, কবুতর প্রতীকে রয়েছেন গণতন্ত্রী পার্টির প্রার্থী দিরাই ডিগ্রি কলেজের প্রাপ্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মিহির রঞ্জন দাস।

গত দুটি সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে জয় লাভ করেন ড. জয়া সেনগুপ্তা। এবার তিনি নৌকা প্রতীক পান নি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তিনি প্রার্থী হওয়ায় শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন নৌকা প্রতীকের আল—আমিন চৌধুরী।

আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরাও দুইভাগে বিভক্ত হয়ে প্রচারণায় আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়া সেনগুপ্তার পক্ষে মাঠে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, যুবলীগ নেতা মেয়র বিশ্বজিৎ রায়, সাবেক সহসভাপতি সিরাজ—উদ—দৌলা তালুকদারসহ একাধিক নেতাকর্মী।

অন্যদিকে নৌকার প্রার্থী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আল আমিন চৌধুরীর পক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহেল আহমদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রঞ্জন কুমার রায়সহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

Manual7 Ad Code

এদিকে, দুই পক্ষের নির্বাচনী বিভিন্ন সভায় চলছে কথার লড়াইও। নৌকার পক্ষে থাকা নেতা—কর্মীরা বলছেন, গত ৭ বছরে তেমন কোন উন্নয়ন হয়নি। জয়া সেনগুপ্ত নেতাকর্মীদের ধরে রাখতে পারেন নি। তার হয়ে একজন নেতা সকল সুযোগ, সুবিধা ভোগ করেছেন। এখন এক পরিবারের আধিপত্য থেকে বের হতে হবে।

জয়ার সমর্থকরা বলছেন, আমাদের নেত্রী সবসময় ছিলেন সাধারণ মানুষের পাশে। কখন কারো সাথে অন্যায় জুলুম করেননি। ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে আপোষহীন। অসাম্প্রদায়িক দিরাই-শাল্লা গড়তে নেত্রীর সাথে থাকুন।

Manual2 Ad Code

স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীরা বলছেন, বিএনপির সমর্থকরা যার সঙ্গে থাকবেন, জয়ের পাল্লা তার দিকেই যাবে।

Manual4 Ad Code

উপজেলা বিএনপির দায়িত্বশীল কারও বক্তব্য না মিললেও বিএনপির পদধারী একজন নেতা জানান, তারা ভোটকেন্দ্রের না গেলেও সমর্থকদের অনেকেই হয়তো যাবেন। সে আভাস মিলেছে দলটির তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেও।

বিএনপির একজন দায়িত্বশীল নেতা বলেন, ‘নেতাকর্মীরা না গেলেও দিরাইয়ে বিএনপি সমর্থিত অনেক ভোটার তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে যাতে পারেন। এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায়না।’

শেয়ার করুন