Beanibazarer Alo

  সিলেট     বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

স্কুলছাত্রী নীলা হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

admin

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০২৩ | ০২:৩৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২৩ | ০২:৩৩ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
স্কুলছাত্রী নীলা হত্যা মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পেছাল

Manual2 Ad Code

আদালত প্রতিবেদক:
ঢাকার সাভারে প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রী নীলা রায়কে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি মিজানুরসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন আদালত।

Manual4 Ad Code

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফেরদৌস ওয়াহিদের আদালতে এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে এদিন কোনো সাক্ষী আদালতে আসেননি। সে কারণে সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৬ এপ্রিল দিন ধার্য করেন আদালত।

Manual4 Ad Code

এর আগে এ মামলার বাদী নীলার বাবা নারায়ণ রায়ের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গত বছরের ৩ আগস্ট এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার ভারপ্রাপ্ত পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ইসমত জাহান।

Manual2 Ad Code

মামলার আসামিরা হলেন— মিজানুর রহমান চৌধুরী, তার বন্ধু সাকিব হোসেন ও সেলিম পাহলান।

২০২১ সালের ২৮ এপ্রিল ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নির্মল কুমার দাস। এছাড়া অভিযোগের প্রমাণ না মেলায় আসামি মিজানুরের বাবা আব্দুর রহমান ও মা নাজমুন্নাহার সিদ্দিকাকে অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়া হয়। অভিযোগপত্রে আটটি আলামতের কথা উল্লেখ করাসহ ১৩ জনকে সাক্ষী করা হয়।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে হাসপাতাল থেকে ফেরার পথে নীলা ও তার ভাই অলক রায়ের গতিরোধ করেন মিজানুর। পরে তার ভাইয়ের কাছ থেকে নীলাকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়। এরপর পরিত্যক্ত একটি বাড়িতে নিয়ে নীলাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন মিজানুর। প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় নীলাকে ছুরিকাঘাত করে মিজানুর পালিয়ে যান।

পরে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নীলাকে মৃত ঘোষণা করেন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন ২১ সেপ্টেম্বর সাভার মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নীলার বাবা নারায়ণ রায়।

ঘটনার পর ওই বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর মানিকগঞ্জের আরিচাঘাট এলাকা থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করা হয়। সাতদিনের রিমান্ড শেষে ১ অক্টোবর ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা জানিয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব আহসানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন মিজানুর। পরে তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। অন্য দুই আসামি সাকিব ও সেলিম উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান।

Manual5 Ad Code

নীলা মানিকগঞ্জ জেলার বালিরটেক এলাকার বাসিন্দা নারায়ণ রায়ের মেয়ে। সে সাভার পৌর এলাকার ব্যাংক কলোনির অ্যাসেড স্কুলে দশম শ্রেণিতে পড়ত।

 

শেয়ার করুন