Beanibazarer Alo

  সিলেট     শনিবার, ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হবিগঞ্জে মোবাইলে উত্ত্যক্তের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা

admin

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ০১:২৪ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ০১:২৪ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
হবিগঞ্জে মোবাইলে উত্ত্যক্তের জেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা

Manual6 Ad Code

আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে মোবাইল ফোনে ‘উত্ত্যক্তের বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে’ কীটনাশক পানে তাহমিনা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধুর আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।

গতকাল রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। নিহত তাহমিনা আক্তার একই গ্রামের মহসিন মিয়ার স্ত্রী ও জসিম উদ্দিন মিয়ার কন্যা। বিবাহিত জীবনে তিনি এক সন্তানের জননী।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, নোয়াগাঁও গ্রামের আবুল কাশেম মিয়ার পুত্র সুবেশ মিয়া (২২) দীর্ঘদিন ধরে তাহমিনাকে মোবাইল ফোনে ‘উত্ত্যক্ত’ করছিলেন। তিনি তাকে বিভিন্নভাবে ‘কুপ্রস্তাব দিতেন’। বিষয়টি নিয়ে তাহমিনার পরিবারের পক্ষ থেকে দুইদিন আগে আজমিরীগঞ্জ থানায় মৌখিকভাবে অবগত করা হয়।

Manual2 Ad Code

গতকাল রবিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পরিবারের পুরুষ সদস্যরা আজমিরীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে যান। তখন ঘরে থাকা তাহমিনা কীটনাশক পান করে ছটফট করতে থাকেন। পরিবারের লোকজন স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার সময় পথেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। খবর পেয়ে পুলিশ তাহমিনার মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করে।

Manual6 Ad Code

ঘটনার পর থেকে সুবেশ মিয়া পলাতক রযেছে বলে জানা গেছে।

Manual2 Ad Code

স্থানীয় ইউপি সদস্য ময়না মিয়া জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে জানতে পেরেছি সুবেশ মিয়া বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে তাহমিনাকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল৷ এরই জেরে সকালে তার পরিবারের পুরুষ সদস্যরা থানায় যাবার পর সে কীটনাশক পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে পথিমধ্যে মৃত্যু হয় তার।

আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মাঈদুল হাছান বলেন, সুবেশ নামে একটি ছেলে তাকে উত্ত্যক্ত করতো বলে তার পরিবার জানিয়েছে৷ আমরা লাশের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছি৷ অভিযুক্তকে ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Manual7 Ad Code

শেয়ার করুন