স্টাফ রিপোর্টার:
নোয়াখালীর হাতিয়ায় অঙ্ক না পারায় এক অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে বেধড়ক বেত্রাঘাতের অভিযোগ উঠেছে এক সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রী বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলার চরচেঙ্গা ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটেছে। পরদিন শুক্রবার বিকেলে ভুক্তভোগী ছাত্রীর মা হাতিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, গণিতের ক্লাস চলাকালে অঙ্ক সমাধান করতে না পারায় সহকারী শিক্ষক রেজাউল করিম ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রীটিকে বেত্রাঘাত করেন। এতে সে শ্রেণিকক্ষেই অচেতন হয়ে পড়ে। সহপাঠীরা দ্রুত তাকে স্থানীয় এক পল্লিচিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
ছাত্রীর মা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়ের মেরুদণ্ডে গুরুতর আঘাত লেগেছে। সে এখনো স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে পারছে না।’
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক বিমান চন্দ্র আশ্চর্য বলেন, ‘রোগী মাঝে মাঝে জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে। শরীরের কোনো অংশে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় এই অবস্থা হতে পারে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বাইরে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
অভিযুক্ত শিক্ষক রেজাউল করিম বলেন, ‘অঙ্ক না পারায় আমি শুধু একবার পিঠে থাপ্পড় দিয়েছি। এত গুরুতর কিছু হওয়ার কথা নয়। এরপরও মেয়েটি অসুস্থ হওয়ায় আমরা হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিয়েছি। ঘটনার জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত।’
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সম্পাদক ও প্রকাশক: আব্দুল খালিক
আইন-উপদেষ্টা: ব্যারিস্টার ফয়সাল দস্তগীর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
উপ-সম্পাদকঃ ফুজেল আহমদ
সহ সম্পাদকঃ মোঃ সুমন আহমদ
সার্বিক ব্যবস্থাপকঃ মোঃ আলী হোসেন
স্টাফ রিপোর্টারঃ মোঃ আবুল হাসান আহমদ,
প্রকাশক কর্তৃক উত্তরা অফসেট প্রিন্টার্স কলেজ রোড, বিয়ানীবাজার
সিলেট থেকে মুদ্রিত ও শরীফা বিবি হাউজ, মেওয়া থেকে প্রকাশিত।
বানিজ্যিক কার্যালয় :
উত্তর বাজার, মেইন রোড, বিয়ানীবাজার, সিলেট।
ই-মেইল: beanibazareralo@gmail.com
মোবাইল: ০১৮১৯-৫৬৪৮৮১, ০১৭৩৮১১৬৫১২।