স্টাফ রিপোর্টার:
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি বৃহস্পতিবার(১৮ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১০টায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা শোকে স্তব্ধ। হাদিশূন্য তার বসতভিটায় ভিড় করছেন চেনা-অচেনা বহু মানুষ।হাদির শ্বশুরবাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জেও শোকের মাতম। শেষবারের মতো দেখতে অপেক্ষার প্রহর গুনছে গ্রামবাসী।গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হাদিকে। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে মারা যান তিনি।১৯৯৩ সালে নলছিটি পৌরসভার খাসমহল এলাকার টিনশেডের একটি সাধারণ ঘরেই জন্ম নিয়েছিলেন সৈয়দ শরিফ ওসমান হাদি। বাবা মাওলানা আবদুল হাদি ও মা তাসলিমা হাদির ঘরে ছয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার ছোট। নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হাদির বেড়ে ওঠা গ্রামেই। তবে এই ঘরে তিনি যেন এখন কেবল-ই ছবি। ঘাতকের গুলিতে চিরতরে বিদায় নেওয়ায়, শূন্যতার কালো ছায়ায় তার জন্মভূমি।
শৈশব থেকেই হাদি ছিলেন প্রতিবাদের এক কণ্ঠস্বর। নেছারাবাদ এন এস কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম শেষ করেন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমির পাঠ চুকান। স্বজনদের পাশাপাশি গ্রামবাসীর কাছে হাদি যেন কেবল একটি নাম নয়, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়ায় প্রতিষ্ঠানের প্রতিচ্ছবি হয়ে ওঠেন। তাইতো তার মৃত্যুর ঘটনা মানতে পারছেন না কেউই। কেউ অঝোরে কাঁদছেন আবার কেউ কাঁদছেন গুমরে গুমরে।