হাসপাতালে গর্ভে শিশুর মৃত্যু, আটক ২

Daily Ajker Sylhet

admin

১৪ ডিসে ২০২৪, ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ


হাসপাতালে গর্ভে শিশুর মৃত্যু, আটক ২

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জ শহরের সবুজবাগ এলাকায় খোয়াই জেনারেল হাসপাতালে সিজার করতে কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণে মায়ের গর্ভে নবজাতক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই হাসপাতালের পরিচালক তুহিন মিয়া ও স্টাফ আরিফ আহমেদকে আটক করেছে সদর থানা পুলিশ।

তাদেরকে বর্তমানে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। যদিও এই ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছে হাসপাতালটির অন্যান্য স্টাফরা।

জানা গেছে- বানিয়াচং উপজেলার সাদকপুর গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চালক হাফিজ খান তার স্ত্রীর সিজারের জন্য বৃহস্পতিবার সকালে হবিগঞ্জ শহরের খোয়াই জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পরিক্ষা নিরীক্ষা শেষে জানায় মা ও সন্তান ভালো আছে। রাত ৮টায় প্রসূতিকে সিজারের প্রস্তুতি হিসেবে রোগীকে হার্ডসল স্যালাইন ও ইনজেকশন দেন চিকিৎসা। অপারেশন ত্রিয়েটারে নেয়া হয় রাত ১০টায়।

প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়ার পর এন্যাস্তেশীয়া মেশিনে ত্রুটি দেখা দেয়। তখন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় মেশিনের ত্রুটি সমাধানের পর অপারেশন করা হবে।

এদিকে, রোগীর অবস্থা খারাপ হলে স্বজনরা তাকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু খোয়াই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায় কোন সমস্যা হবে না। পরে রোগীকে তাদের এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে পুনরায় প্রসূতিকে খোয়াই হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তৃপক্ষ অন্য স্থানে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরে প্রসূতিকে অন্য একটি প্রাইভেট হাসপাতালে নিয়ে গেলে আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে দেখা যায় প্রসূতির গর্ভের সন্তান মারা গেছেন।

প্রসূতির স্বামী হাফিজ খানের অভিযোগ রাতে হার্ডসল স্যালাইন ও ইনজেকশন দেয়ার পর অপারেশন না করার কারণেই বাচ্চার মৃত্যু হয়েছে। পরে শুক্রবার বিকেলে শহরের অন্য একটি প্রাইভেট হাসপাতালে সিজারিয়ান পদ্ধতিতে শিশুটির মৃতদেহ খালাস করা হয়। হাফিজ খান বলেন, আমরা বার বার বলেছি তাদের হাসপাতালে না হলে আমরা অন্য হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু তারা আমাদের বলেছিল এই হাসপাতালেই হবে। কিন্তু ১ দিন পর তারা আমাদের বলেছে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে। আর এত সময়ে আমার বাচ্চাটা মারা গিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর থানার (ওসি) মো. আলমগীর কবির বলেন- ভোক্তভুগীরা থানায় এসেছেন রাত ১০টার দিকে। তারা মৌখিকভাবে বিষয়টি আমাদের অবগত করার পর তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের পরিচালকসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

Sharing is caring!