Beanibazarer Alo

  সিলেট     বুধবার, ১৭ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২রা পৌষ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

১৩১ জনের ফল যাচাইয়ে কারও পরিবর্তন হয়নি

admin

প্রকাশ: ১১ মার্চ ২০২৩ | ০১:১৩ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১১ মার্চ ২০২৩ | ০১:১৩ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
১৩১ জনের ফল যাচাইয়ে কারও পরিবর্তন হয়নি

Manual4 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার:
প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে স্থগিত হওয়া আলোচিত প্রাথমিকের সংশোধিত বৃত্তির ফলে অনেক বাদ পড়ে। বাদ পড়া শিক্ষার্থীরা চাইলে তার ফলাফল পুনরায় যাচাই করে দেখার সুযোগ দেয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। এতে সারাদেশে থেকে প্রচুর আবেদন পড়েছে।

Manual2 Ad Code

এরমধ্যে প্রাথমিকভাবে ১৩১ জনের আবেদন নিরীক্ষা করে কারও ফলাফল পরিবর্তন হয়নি। এ নিরীক্ষা চলতে থাকবে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক ও শিক্ষা অধিপ্তরের কর্মকর্তারা।

বৃহ্স্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের থেকে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে এই ১৩১ জনের আবেদন যাচাই করে কোনও পরিবর্তন হয়নি, এমন প্রতিবেদন মহাপরিচালকের কাছে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া পর্যায়ক্রমে আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই হচ্ছে। সেগুলো শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

কর্মকর্তারা বলছেন, যেসব শিক্ষার্থীরা আবেদন করেছেন সে কেন বাদ পড়েছেন, তার পরবর্তী সময়ে যে শিক্ষার্থী পেয়েছেন সে কীভাবে পেল তার ব্যাখ্যাসহ তাকে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে হবিগঞ্জে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষার ফল সংশোধিত হলেও পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছেন ইসমাইল নামে একজন শিক্ষার্থী, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ সর উপজেলা শিক্ষা অফিসার আফতাব উদ্দিন ডিপিই মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো প্রতিবেদনে বলেছেন, সংবাদমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনটি সঠিক নয়।

Manual6 Ad Code

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, হবিগঞ্জ শহরের টাউন মডেল সরকারি বালক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বৃত্তি পরীক্ষার্থী ইসমাইল হোসেনের রোল নম্বর ১০৭২। তবে সে বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি। কিন্তু বৃত্তি পরীক্ষার সংশোধনী ফলাফলে ইসমাইল ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, ইসমাইল হোসেনে প্রকৃত রোল নম্বর হল ১০৭১। ১০৭২ রোলটি এই এলাকায় টাউন মডেল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের খাইরুম জান্নাত। সে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সাধারণ কোটায় বৃত্তি পেয়েছে।

Manual1 Ad Code

উল্লেখ্য, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রাথমিক ‍বৃত্তির ফল প্রকাশ করা হয়। সফটওয়্যারের টেকনিক্যাল কোডিংয়ে ভুল হওয়ায় সার্বিক ফলাফলে সমস্যা তৈরি হওয়ায় ফলাফলটি স্থগিত করা হয়। পরে ১ মার্চ সংশোধিত ফল প্রকাশ করে। এতে আগের তালিকায় নাম থাকা অনেকেই বাদ পড়েন।

ডিপিই পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. উত্তর কুমার দাশ বলেন, বৃত্তির ফল চ্যালেঞ্জ ও পুনঃনিরীক্ষণ করার সুযোগ আইনে নেই। তারপরও এবার যেহেতু অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা ঘটেছে তাই আমরা এ সুযোগটি দিতে চাই। কি কারণে তিনি বৃত্তি পায়নি আবেদনকারী ব্যাখ্যাসহ দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, সংশোধিত ফলে কেউ সংক্ষুব্ধ হয়ে বা পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে কিন্তু কোনও তালিকায় নাম আসেনি, তিনি চাইলেও এ আবেদন করতে পারবেন। আমরা তাদের আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখবো। দেশে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় বা অধিদপ্তরে এ আবেদন করতে পারবেন বলে জানান তিনি। তবে এটাকে চ্যালেঞ্জ বলা যাবে। এই কর্মকর্তার দাবি, সংশোধিত ফল প্রকাশের পর প্রকৃত মেধাবীদের কোনও অভিযোগ থাকার কথা নয়।

 

Manual5 Ad Code

শেয়ার করুন