Beanibazarer Alo

  সিলেট     বৃহস্পতিবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ  | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

২৪ ঘণ্টায় ৪২ ফুট গর্ত খুঁড়েও পাওয়া যায়নি সাজিদকে, উদ্ধার অভিযান চলছে

admin

প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ০৪:৪৮ অপরাহ্ণ | আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৫ | ০৪:৪৮ অপরাহ্ণ

ফলো করুন-
২৪ ঘণ্টায় ৪২ ফুট গর্ত খুঁড়েও পাওয়া যায়নি সাজিদকে, উদ্ধার অভিযান চলছে

Manual6 Ad Code

স্টাফ রিপোর্টার :
রাজশাহীর তানোরে পরিত্যক্ত নলকূপের গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশু সাজিদকে (২) উদ্ধার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। এ পর্যন্ত ৪২ ফুটি পর্যন্ত খনন করেছে তারা, তবে এখনও শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শিশুটিকে উদ্ধারে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস।

Manual5 Ad Code

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ৩টার দিকে এ কথা জানান রাজশাহী (সদর) ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম।

Manual2 Ad Code

এর আগে বুধবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে উপজেলার পাচন্দর ইউনিয়নের কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে নলকূপে গভীর গর্তে পড়ে যায় শিশুটি। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিটের কর্মীরা শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করে।

ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শিশুটিকে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। বুধবার বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট থেকে একটি স্কেভেটর গর্তের পাশেই সমান্তরাল আরেকটি পথ খুঁড়ছে এবং দুটি ট্র্যাক্টর মাটি সরাচ্ছে। শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে গর্তের ভেতরে নিয়মিত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কোয়েলহাট গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক কমে গেছে। গ্রামের একজন বাসিন্দা পানির স্তর পরীক্ষা করতে গর্তটি করেছিলেন এবং পরে সেটি ভরাট করেন। কিন্তু বৃষ্টিতে মাটি বসে গিয়ে পুরনো গর্তটি আবার বের হয়ে আসে। বুধবার দুপুরে শিশুটির মা রুনা খাতুন ওই মাঠে ধানের খড় নিতে যান। ওই সময় সাজিদ খেলতে গিয়ে গর্তে পড়ে মাটির ভেতরে ঢুকে যায়। স্থানীয়রা প্রথমে উদ্ধারের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন।

রুনা খাতুন বলেন, গর্তটির মুখ খড় দিয়ে ঢাকা ছিল। আমরা কেউ ঢেকে রাখা গর্তটি দেখতে পাইনি।

Manual6 Ad Code

রাজশাহী সদর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশনের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম বলেন, গতকাল (বুধবার) আমরা আসার আগেই স্থানীয়রা শিশুটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তখন কিছু মাটি গর্তে পড়ে গেছে। আমরা ক্যামেরা পাঠিয়ে দেখার চেষ্টা করেছি।

Manual7 Ad Code

তিনি আরও জানান, শিশুটিকে জীবিত উদ্ধারের জন্য গর্তের ভেতরে অক্সিজেন পাঠানো হচ্ছে। পাশে স্কেভেটর দিয়ে খনন করা হচ্ছে। এই পর্যন্ত প্রায় ৪২ ফুট গভীর পর্যন্ত গর্ত খোঁড়া হয়েছে। উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

শেয়ার করুন