স্কুল-কলেজ সাত দিন বন্ধ, স্বস্তিতে সিলেটের অভিভাবকরা
২০ এপ্রি ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে না আগামীকাল রোববার। আরও সাত দিন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২৮ এপ্রিল খুলবে স্কুল ও কলেজ।
তীব্র তাপপ্রবাহে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও ৭ দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সরকারি-বেসরকারি কলেজ, মাদরাসা, কারিগরি প্রতিষ্ঠান আগামী ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকছে। ২৮ এপ্রিল থেকে পুনরায় ক্লাস শুরু হবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরসহ (মাউশি) স্ব স্ব দপ্তরগুলোর পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সরকারের এমন সিদ্ধান্তে খুশি সিলেটে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
বেশকয়েকজন অভিভাবকের সাথে কথা বলে জানা যায়, পবিত্র রমজান, ঈদুল ফিতর, গ্রীষ্মকালীন অবকাশসহ বেশ কয়েকটি ছুটির সমন্বয়ে ২৬ দিন পর রোববার (২১ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। সিলেটসহ সারাদেশে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুলে বরং আরও ছুটি বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন তারা।
অভিভাবকরা জানান, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে কয়েকটি জেলায় হিট অ্যালার্ট জারি করার পর সন্তানদের নিয়ে চিন্তায় পড়েগেছিনেন তারা। সার্বিক দিক বিবেচনা করে সরকার ছুটি বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়ায় কিছুটা স্বস্তি লাগছে।
দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে তীব্র এবং বেশির ভাগ অঞ্চলে মাঝারি ও মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। প্রচণ্ড গরম এপ্রিল মাসজুড়েই থাকবে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে গরমের তীব্রতা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তাপপ্রবাহে গরম আরও বেড়ে যাওয়ার শঙ্কায় শুক্রবার তিন দিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এমন পরিস্থিতিতে আগামীকাল রোববার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। ঈদুল ফিতরসহ আরও কয়েকটি ছুটি মিলিয়ে টানা ২৬ দিন বন্ধ থাকার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা থাকলেও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে চলমান তাপদাহ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখার দাবি উঠে। এ অবস্থায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি ৭ দিন বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ঐক্য ফোরাম। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গ্রীষ্মকালীন ছুটি এগিয়ে আনার দাবি করেন অনেকেই। সার্বিক পরিস্থিতিতে গরমে শিক্ষার্থীদের সুস্থতার কথা ভেবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাদ্রাসা অধিদপ্তর।