সিলেটের মাঠে ভারতের সঙ্গে তিক্ততার অবসান, নাকি নতুন করে শুরু
২৮ এপ্রি ২০২৪, ০১:০৪ অপরাহ্ণ
স্টাফ রিপোর্টার:
এ বছরের শেষদিকে সিলেটের মাঠে শুরু হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্যই মূলত বাংলাদেশে এসেছে ভারত। আগামী ২৮ এপ্রিল সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যকার পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ।
ম্যাচের আগের দিন শনিবার সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন দুই দলের অধিনায়ক। অতীতের তিক্ততা ভুলে ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর বলেন, বাংলাদেশ আগের চেয়ে উন্নতি করেছে আর তার এমন কথা শুনে একপ্রকার খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিও।
গত বছর বাংলাদেশ-ভারত নারী দলের সিরিজের শেষটা হয়েছিল তিক্ততায়। মাঠের আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্টি জানিয়েছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। পরে সেটি চলে এসেছিল পুরস্কার বিতরণী মঞ্চেও। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে ফের বাংলাদেশে এসেছে ভারত। আগামীকাল সিলেটে মাঠে গড়াবে প্রথম টি-টোয়েন্টি।
রবিবার দুপুরে সিলেট নগরের ঐতিহাসিক আলী আমজাদের ঘড়ির সামনে ট্রফি উন্মোচন করেন দুই দলের অধিনায়ক।
ট্রফি উন্মোচনের আগে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর। জানান তাদের পরিকল্পনার কথা। গত সিরিজের তিক্ততা ভুলে বাংলাদেশের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছে।
তার এমন কথা শুনে খুশি বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি।
তিনি বলেন, প্রথমত দেখেন, জানি না যেটা আপনি বললেন রাইভালরির কথা। অতীতে অনেক কিছু হয়ে গেছে। কিন্তু যা হয়েছে, তা অতীত। ওটা নিয়ে আমরা বসে নেই। কিন্তু শুনে ভালো লাগলো যে, তারা বলছে আমরা আগের থেকে অনেক ম্যাচিউরড টিম। এর মানে হচ্ছে তারা আমাদের হালকাভাবে নেয়নি অবশ্যই।
এ বছরের শেষদিকে বাংলাদেশে হবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এই টুর্নামেন্টের প্রস্তুতির জন্যই মূলত বাংলাদেশে এসেছে ভারত। এই সিরিজকে তাই দুই দলের জন্যই সুযোগ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতি।
তিনি বলেন, আমি যেটা চিন্তা করছি এটা সুযোগ হিসেবে দেখছি। কারণ ভারত ভালো দল এবং তারা কিন্তু ফুল প্যাকেজ নিয়ে এবার এসেছে। বিশ্বকাপে হয়তো তারা এই টিমটাই খেলবে। ওদের জন্য একটা ভালো প্রস্তুতির সুযোগ, আমাদের জন্যও। ১৫ বছর বয়সী পেসার হাবিবা ইসলাম পিংকিকে নিয়েও আশার কথা জানালেন তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সিলেটের টি-টোয়েন্টি সিরিজকে গুরুত্বের সাথে দেখছে দুই দলই। ভারতের বিপক্ষে পাঁচটা টি-টোয়েন্টি খেলা এবং দলটা যে কঠিন সময় পার করে এসেছে সেটা থেকে কামব্যাক করতে হলে ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে বাংলাদেশের। সিলেটের মাঠ বড় কোন অর্জন না থাকলেও এই সিরিজ দিয়ে সেই আক্ষেপটাও মেটাবে বাংলাদেশ নারী দল এমনটাই মনে করছেন সিলেটর ক্রিকেট প্রেমিরা।