রাষ্ট্রপ্রধানদের মধ্যে যারা বিমান দুর্ঘটনার পরও বেঁচে গেছেন
২০ মে ২০২৪, ০১:০৫ অপরাহ্ণ
অনলাইন ডেস্ক:
ইরানে রোববার রাতে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর সোমবার দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, ওই হেলিকপ্টারে থাকা কোনো আরোহী বেঁচে নেই। অর্থাৎ মারা গেছেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দোল্লাহিয়ান এবং আরও দুই শীর্ষ কর্মকর্তা।
১৯৩৬ সাল থেকে রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের হেলিকপ্টার এবং বিমান দুর্ঘটনা খবর সংকলন করেছে সংবাদ মাধ্যম আনাদোলু। যেসব রাষ্ট্র বা সরকার প্রধানরা বেঁচে গেছেন তাদের তালিকা প্রকাশ করেছে সংবাদ মাধ্যমটি।
চীনা প্রধানমন্ত্রী ঝোউ এনলাই ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়ার জন্য ভাড়া করা এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে হত্যা চেষ্টা থেকে বেঁচে যান। এটি ১৯৫৫ সালের ১১ এপ্রিলের ঘটনা। বিমানে ভ্রমণের আগেই হত্যার বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়। ফলে শেষ মুহূর্তে তার ভ্রমণ পরিকল্পনা পরিবর্তন আনেন। বোমা বিস্ফোরণে বিমানটি দক্ষিণ চীন সাগরে বিধ্বস্ত হয়। এতে ১১ জন যাত্রী প্রাণ হারান এবং তিনজন বেঁচে যান।
১৯৫৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তুরস্কের নবম প্রধানমন্ত্রী আদনান মেন্ডারেসকে বহনকারী বিমান লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দর থেকে ৪ দশমিক ৫ কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত হয়। বিমান বিধ্বস্ত হলে তিনি বেঁচে যান। তিনি তুরস্ক, ইংল্যান্ড এবং গ্রিসের মধ্যে সাইপ্রাসে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করতে গিয়েছিলেন। দুর্ঘটনায় আনাদোলুর তৎকালীন মহাপরিচালক সেরিফ আরজিকসহ ১৪ জন প্রাণ হারান এবং ক্রু ও যাত্রীসহ সাতজন আহত হন।
জর্ডানের সাবেক রানি আ আলিয়া তুকান ১৯৭৭ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তাফিলা শহরে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান। হেলিকপ্টারটি তীব্র বৃষ্টির কবলে পড়েছিল। তুকানের স্বামী রাজা হুসেইন বিন তালাল দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান। তৎকালীন জর্ডানের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-বাশির একই ঘটনায় মারা যায়।
ইংল্যান্ডের রাজা চার্লস তৃতীয় ১৯৯৪ সালের জুন বিমান দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যান। তাকে বহনকারী বিমানটি প্রবল বাতাসের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন, ফলে এটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও এক মিলিয়ন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছিল।