ভারতীয় গরুতে বাজার সয়লাব, দুশ্চিন্তায় খামারিরা
১২ জুন ২০২৪, ০১:০২ অপরাহ্ণ
দোয়ারাবাজার সংবাদদাতা:
আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ভারতীয় গরুতে বাজার সয়লাব হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষক ও খামার মালিকরা।
খামার মালিকরা জানান, খাদ্য, চিকিৎসা ও বিদ্যুৎ বিলসহ শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধির কারণে পশুপালনের ব্যয়ভার এবার দ্বিগুণ বেড়েছে। এতে গত বছরের তুলনায় এবার পশুর দাম চড়া না হলে বিপাকে পড়বেন কৃষকসহ আমাদের খামারিরা। এছাড়া সম্প্রতি সীমান্তের বিভিন্ন স্পটে অবৈধ পন্থায় দেদারসে দেশে ঢুকছে ভারতীয় গরু মহিষ। ফলে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছি আমরা খামার মালিকরা।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইমান আল হোসাইন এ প্রতিবেদককে জানান, সব মিলিয়ে এ উপজেলায় গরুর খামার রয়েছে ৫৫টি। আসন্ন ঈদে ৮টি পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কোরবানির পশু প্রস্তুত রয়েছে ১৭ হাজারের অধিক। চাহিদা রয়েছে ১৬ হাজার।
দোয়ারাবাজারের জোহান এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম জানান, ২৫ কেজি ওজনের ১৩-১৪শ’ টাকার গো-খাদ্য এবার কিনতে হচ্ছে ১৬শ’ থেকে ১৯শ’ টাকায়। শ্রমিকের মজুরি ও ওষুধের দাম বেড়েছে দ্বিগুণ। এ অবস্থায় এবার লাভক্ষতির হিসাব কষতে হিমশিম খাচ্ছি আমরা।
এদিকে, খামারি ও কৃষকরা জানান, সাধারণত পছন্দের ভিত্তিতে পশুর দাম ওঠানামা করে। এবার স্থানীয় হাটগুলোতে গতবারের তুলনায় পছন্দসই ভালো গরু উঠলেও ভারতীয় গরুর তুলনায় ক্রেতার সংখ্যা অনেক কম। এতে আশানুরূপ মুনাফার চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি বলে ধারণা করছেন তারা।
সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও খামারি রফিকুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় গরুতে বাজার সয়লাব হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খামারিরা। উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের অধিকাংশ পরিবারেই ঈদকে টার্গেট করে নূন্যতম ৫-৭টা করে গরু লালন পালন করেন। কিন্তু এবার কোরবানির পশুর চাইতে ক্রেতার সংখ্যা তুলনামূলক কম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ইমান আল হোসাইন বলেন, উপজেলায় পর্যাপ্ত পরিমাণে কোরবানির পশু রয়েছে। সুতরাং আমাদের এখানে ভারতীয় গরুর কোনো প্রয়োজন নেই। প্রতিটি হাটে রয়েছে আমাদের মেডিকেল টিম।